জনসংখ্যার ভিত্তিতে সংসদীয় আসন নির্ধারণের বিরোধিতা সংসদে


প্রকাশিত: ০৮:৩৪ এএম, ৩০ মে ২০১৭

স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য রুস্তম আলী ফরাজী (পিরোজপুর-৩) জনসংখ্যার ভিত্তিতে নির্বাচন কমিশনের আসন নির্ধারণের উদ্যেগের বিরোধিতা করেছেন। তিনি দাবি করেছেন, এমনটি হলে শুধুমাত্র ঢাকা শহরেই ১০০টি সংসদীয় আসন লাগবে।

মঙ্গলবার দুপুরে জাতীয় সংসদে পয়েন্ট অব অর্ডারে দাঁড়িয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন। এর আগে বেলা ১১টায় স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের ১৬তম (বাজেট) অধিবেশনের প্রথম দিনের কার্যক্রম শুরু হয়।

রুস্তম আলী ফরাজী বলেন, আমি নির্বাচন কমিশনের একটা বিবৃতি দেখলাম। তাতে বলা হয়েছে, নির্বাচনী সীমানা করা হবে জনসংখ্যার ভিত্তিতে। কিন্তু ঢাকা শহরের জনসংখ্যা সবারই জানা আছে। শুধুমাত্র লালবাগে এক কিলোমিটারে ২০ লাখ লোক থাকে। ওই হিসেবে যদি সিট ঠিক করা হয় তাহলে ১০০ সিট লাগবে শুধু ঢাকা সিটিতেই এবং আশপাশে নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর, ধামরাই এসব অঞ্চলে দুইশ থেকে আড়াইশ সিট লাগবে জনসংখ্যায়। সারা বাংলাদেশ তখন খাঁ-খাঁ করবে, মরুভূমিতে পরিণত হবে। একেবারে দেখা যাবে বরগুনা থেকে শুরু করে বরিশাল পর্যন্ত হবে ১ সিট। কারণ জনসাধারণতো কর্মের জন্য ঢাকাতে আসে।

তিনি বলেন, আমার নিজস্ব এলাকার দুই থেকে ৩ লাখ লোক গাজীপুরে গার্মেন্টসে কাজ করেন। এখানে তারা ভোটার হয়েছেন। কিন্তু তাদের পরিবার সব এলাকায়। আজকে যদি জনসংখ্যার ভিত্তিতে হয় তাহলতো ওই এলাকা বঞ্চিত হয়ে যাবে। শুধু জনসংখ্যার উপর ভিত্তি করে কোন এলাকা হয়নি। পিরোজপুর চার আসন থেকে একটা আসন এবং বরগুনা থেকে একটা আসন কাটা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, এক-এগাারোর সময় সামরিক শক্তি যারা ছিলেন সেই মঈনউদ্দিন এবং ফখরুদ্দিনরা যা করেছিলেন সেই ধরনের চিন্তা-ভাবনা যাতে না করা হয়। প্রধান নির্বাচন কমিশনারের প্রতি আমার আস্থা আছে, বিশ্বাস আছে। তিনি এ বিষয়টি অত্যান্ত মানবিক দৃষ্টিতে, জনস্বার্থে এবং গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর কথা চিন্তা বিবেচনা করবেন।

এইচএস/এআরএস/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।