প্রতিবন্ধী স্কুলের শিক্ষকদের জাতীয় বেতন স্কেল বাস্তবায়ন দাবি


প্রকাশিত: ০৮:০৭ এএম, ৩০ মে ২০১৭

সরকার ঘোষিত নতুন বেতন স্কেল অনুযায়ী ২০১৫ সালের জুলাই থেকে বেতন-ভাতা পরিশোধের দাবি জানিয়েছেন বুদ্ধি প্রতিবন্ধী ও অটিস্টিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা।

মঙ্গলবার জতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বিশেষ শিক্ষা বিদ্যালয় ও প্রতিষ্ঠানের প্রফেশনাল শিক্ষক এবং কর্মচারী সমিতির ব্যানারে আয়োজিত মানববন্ধনে এ দাবি জানানো হয়।

শিক্ষকরা বলেন, বুদ্ধি প্রতিবন্ধী ও অটিস্টিক বিদ্যালয়গুলো বুদ্ধি প্রতিবন্ধী ও অটিস্টিক শিশুদের কল্যাণে নিবেদিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এ প্রতিষ্ঠানের উদ্দেশ্য এ ধরনের শিশুদের সম্পর্কে ইতিবাচক ধারণা সৃষ্টি করা। বিশেষ শিক্ষা ও বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের মাধ্যমে তাদের স্বাবলম্বী করে গড়ে তোলা এবং পারিবারিক, সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় জীবনে পুনর্বাসিত করা।

তারা জানান, ২০১০ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে প্রতিবন্ধিতা সম্পর্কিত সমন্বিত বিশেষ শিক্ষা নীতিমালা ২০০৯ অনুমোদন করা হয়েছে। সমাজকল্যাণ মন্ত্রনালয়ের আওতাভুক্ত জাতীয় প্রতিবন্ধী উন্নয়ন ফাউন্ডেশন থেকে নীতিমালা অনুযায়ী ৬২টি বিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মচারীরা শতভাগ মূল বেতনসহ মহার্ঘ্য ভাতা ও নাম মাত্র ভাতা (বাড়ি ভাড়া ১০০ টাকা ও চিকিৎসা ভাতা ১৫০ টাকা) পেয়ে আসছেন। যা খুবই অপ্রতুল।

`সরকার এরই মধ্যে ২০১৫ সালের জাতীয় বেতন স্কেল কার্যকর করেছে। কিন্তু বুদ্ধি প্রতিবন্ধী ও অটিস্টিক বিদ্যালয়ে কর্মরত শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা নতুন স্কেল অনুযায়ী বেতন-ভাতা পাচ্ছেন না। সরকারের সংশ্লিষ্ট মহলে বারবার জাতীয় বেতন স্কেলের আবেদন করা হলেও এ বিষয়ে ইতিবাচক সাড়া পাওয়া যাচ্ছে না। এ ক্ষেত্রে সরকার ও মন্ত্রণালয় আন্তরিক হলেও আমলাতান্ত্রিক জটিলতার কারণে আমরা নতুন স্কেল থেকে বঞ্চিত হচ্ছি।`

প্রধানমন্ত্রী ও সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সহযোগিত চেয়ে শিক্ষকরা বলেন, নীতিমালায় স্পষ্টভাবে বলা হলেও প্রায় দুই বছরেও আমরা জাতীয় বেতন স্কেল ২০১৫ না পেয়ে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি এবং হতাশায় নিমজ্জিত হচ্ছি।

মানববন্ধনে বিশেষ শিক্ষা বিদ্যালয় ও প্রতিষ্ঠানের প্রফেশনাল শিক্ষক এবং কর্মচারী সমিতির সভাপতি রেহানা আকতার বুলবুল, সাধারণ সম্পাদক তাহমিনা পারভীন, শিক্ষক নাজমুল হক খাজা, জাকারিয়া ফারুক, সাদেকা নাসরিন প্রমুখ বক্তব্য দেন।

এমএএস/এমএমএ/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।