‘করের টাকা কোথায় যাচ্ছে, অবাধ লুটপাট হচ্ছে’


প্রকাশিত: ০৮:০৪ এএম, ৩০ মে ২০১৭

জাতীয় পার্টির এমপি কাজী ফিরোজ রশিদ বর্তমান সরকারের অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনার সমালোচনা করে বলেছেন, করের টাকা কোথায় যাচ্ছে? অবাধ লুটপাট হচ্ছে। কোথাও সুশাসন নেই। যদি সুশাসন থাকত, দেশে এই অরাজাকতা থাকত না।

মঙ্গলবার জাতীয় সংসদে অনির্ধারিত আলোচনায় অংশ নিয়ে একথা বলেন তিনি। এর আগে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের অধিবেশন শুরু হয়।

জাতীয় পার্টির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য আরও বলেন, দীর্ঘ দিন আমাদের অর্থনীতিতে একটি অশনি সংকেত চলছে । একটি পত্রিকায় যা এসেছে তার অর্থ, রাষ্ট্রায়ত্ত্ব ছয়টি ব্যাংক এবং একটি বেসরকারি ব্যাংকের আর্থিক ভিত্তি দুর্বলতা এতই প্রকট হয়ে পড়েছে মূলধন তো হারিয়েছেই, ১৬ হাজার টাকা ঘাটতিতে পড়েছে। অর্থাৎ এই ব্যাংকগুলো দিনের পর দিন দেউলিয়া হয়ে যাচ্ছে।

এর আগে আমরা দেখেছি বাংলাদেশ ব্যাংকে ৮শ কোটি টাকা বিদেশ পাচার হয়ে গেছে।

তিনি বলেন, টাকা পাচার হলেই তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। তদন্ত প্রতিবেদন আসে। এর ফলাফল আমরা কখনও দেখতে পাই না। এর মধ্যে আরও দু্টি ঘটনা ঘটে, ওটা ধামাচাপা পড়ে যায়। এই ধামাচাপা পড়তে পড়তে ব্যাংকগুলোই একদম ধামাচাপা পড়ে গেছে। ব্যাংকের উপর জনগনের কোনো বিশ্বাস নেই।

তিনি বলেন, একদিন পরই বাজেট পেশ করা হবে। সেখানেও ঘাটতি বাজেট দেয়া হবে। এই ঘাটতি জনগণ কেন মেটাবে? এটা তো জনগনের টাকা। কারা লুটপাট করছে? কারা এর জন্য দায়ী? আজ পর্যন্ত এই সংসদে এর কোনো জবাব পেলাম না। আমরা কথা বলি কিন্তু অর্থমন্ত্রী থাকেন না। অর্থ প্রতিমন্ত্রী থাকেন না।

তিনি বলেন, কৃষি ব্যাংক, বেসিক ব্যাংক, সোনালী ব্যাংক, রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক, রুপালী এবং অগ্রণী ব্যাংক ছাড়াও মূলধন ঘাটতির তালিকায় বেসরকারি ব্যাংক আইসিবি ইসলামিক ব্যাংকের তালিকা রয়েছে। ক্ষমতায় থাকলে দুটি জিনিসের অভাব হয় না। একটা চাটুকারীতা আরেকটা বাঁশ দেয়া। সরকার মনে করছে জনগণ অনেক কাছে। কিন্তু তা নয়। জনগণ এগুলো দেখে একজনকে বেছে নেয়। সামনে নির্বাচন কোথাও সুশাসনের কোনো ইঙ্গিত আমরা দেখি না।

তিনি বলেন, জনগণ আমাদের বিরোধী দল মনে করে না। কারণ আমরা কথা বলতে পারি না। সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ অনুয়ায়ী আমরা দলের বিরুদ্ধে ভোট দিতে পারি না। সুশাসন আছে? কোথাও সুশাসন নেই। যদি সুশাসন থাকত, দেশে এই অরাজাকতা থাকত না।

তিনি বলেন, আমরা খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ ছিলাম কিন্তু এবার খাদ্য আমদানি করতে হচ্ছে। তার মধ্যে ব্যাংকে অবাধ লুটপাট চলছে। সরকারের কাছের লোক না হলে কেউ লুটপাট করতে পারেন না।

তিনি বলেন, সরকার ক্ষমতায় থাকলে কিছু লোকের চেতনা জাগে। এরা চাটুকার। সমস্ত টাকা কুক্ষিগত করছেন। বিদেশ পাচার করছেন। ভিআইপি লাইসেন্স নিয়ে বিদেশে টাকা পাচার করছেন।

তিনি বলেন, বাজেটে তো কর বাড়াবেন। কিন্তু করের টাকা কোথায় যাচ্ছে? অবাধ লুটপাট হচ্ছে।

এইচএস/এনএফ/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।