ফের শুল্ক গোয়েন্দা কার্যালয়ে আপন জুয়েলার্সের মালিকরা


প্রকাশিত: ০৬:২২ এএম, ৩০ মে ২০১৭

‘অবৈধভাবে’ স্বর্ণ ও হীরা মজুদ রাখার ব্যাখ্যা দিতে আবারও শুল্ক গোয়েন্দা কার্যালয়ে হাজির হয়েছেন আপন গ্রুপ ও আপন জুয়েলার্সের সত্ত্বাধিকারী দিলদার আহমেদ, গুলজার আহমেদ ও আজাদ আহমেদ। সঙ্গে তাদের আইনজীবী আক্তার ফরজাদ জামানও রয়েছেন।

শুল্ক গোয়েন্দার চিঠির সাড়া দিয়ে মঙ্গলবার পৌনে দুপুর ১২ টার মিনিটে সেখানে উপস্থিত হয়েছেন তারা। তবে কার্যালয়ে পৌঁছার ক্ষেত্রে তারা বেশ কৌশল অবলম্বন করেছেন।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, আপন জুয়েলার্সের প্রকৃত গ্রাহকদের স্বর্ণালঙ্কার ১৮২ জনের স্বপক্ষে প্রায় সাড়ে ৩ কেজি ফেরতযোগ্য স্বর্ণের হিসাব পাওয়া গেছে। এই গ্রাহকদের রশিদ ও ব্যক্তিগত আইডি (এনআইডি/পাসপোর্ট) সহ শুল্ক গোয়েন্দা কার্যালয়ে উপস্থিত হতে অনুরোধ করা হয়। এর প্রেক্ষিতে ৮৫ জন গ্রাহককে স্বর্ণালঙ্কার ফেরত দেয়া হয়েছে।

আর জব্দ স্বর্ণের বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দিলদার আহমেদসহ মালিকপক্ষদের লোকজনকে বুধবার সকাল ১১ টায় কাগজপত্রসহ হাজির হওয়ার জন্য তলব করে শুল্ক গোয়েন্দা।

উল্লেখ্য, গত ১৪ ও ১৫ তারিখে সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে আপন জুয়েলার্সের বিভিন্ন শাখায় অভিযান চালিয়ে প্রায় ১৩.৫ মণ স্বর্ণালঙ্কার ও ৪২৭ গ্রাম হীরার অলঙ্কার জব্দ করেন শুল্ক গোয়েন্দারা।

তবে এসব অলঙ্কারের বিষয়ে এখনও পর্যন্ত মালিকপক্ষ কোনো বৈধ কাগজ দেখাতে পারেননি। গোয়েন্দা সূত্র বলছে, তারা এই স্বর্ণ চোরাচালানের মাধ্যমে সংগ্রহ করেছেন।

পরে এ ঘটনায় গত ১৭ মে কাকরাইলে শুল্ক গোয়েন্দা অধিদফতর কার্যালয়ে তলব করা হয় আপন জুয়েলার্সের মালিকরা। সেখানে উপস্থিত হয়ে তারা জব্দ স্বর্ণের স্বপক্ষে বৈধ কাগজ দেখানোর সময় প্রার্থনা করেন।

এরই প্রেক্ষিতে বুধবার সকালে দিলদার আহমেদসহ জুয়েলার্সের সব শাখার মালিককে আবারও তলব করা হয়।

জেইউ/এমএমএ/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।