৮৫ গ্রাহকের স্বর্ণ ফেরত দিয়েছে আপন জুয়েলার্স
আপন জুয়েলার্সের মোট পাঁচটি শাখায় মেরামতের জন্য দেয়া ১৮২ জন গ্রাহকের মধ্যে ৮৫ জনের স্বর্ণালঙ্কার ফিরিয়ে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। সোমবার সকাল ১০টা থেকে বিকেল পর্যন্ত শুল্ক গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে উত্তরা, সুবাস্তু ইমাম স্কয়ার, গুলশান ডিসিসি মার্কেট, মৌচাক ও সীমান্ত স্কয়ারের আপন জুয়েলার্সের শোরুমে একযোগে গ্রাহকদের এসব স্বর্ণালঙ্কার ফেরত দেয়া হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে শুল্ক গোয়েন্দার সহকারী পরিচালক দিপা রানী হালদার জানান, সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত গ্রাহকদের স্বর্ণালঙ্কার ফেরত দেয়ার জন্য আমরা সহযোগিতা করেছি। তিনি জানান, আপন জুয়েলার্সের উত্তরা শোরুমে ১৫ জন, সুবাস্তু ইমাম স্কয়ার শাখায় ১৩ জন, গুলশান ডিসিসি মার্কেটে ১৫ জন, মৌচাক ১৯ জন ও সীমান্ত স্কয়ারের শোরুমে ২৩ জনসহ মোট ৮৫ জন গ্রাহক বৈধ রসিদ ও জাতীয় পরিচয়পত্র দেখিয়ে তাদের স্বর্ণালঙ্কার ফেরত নিয়ে গেছেন। এ স্বর্ণের মোট ওজন ২ দশমিক ৩৩ কেজি।
বাকি গ্রাহকদের আবারও ফোন করে আসতে তাগিদ দেয়া হয়েছে। শুল্ক গোয়েন্দা সাধারণ কোনো গ্রাহকের ক্ষতি চায় না বলে তিনি জানান। দিপা রানী হালদার আরও বলেন, আপন জুয়েলার্স কর্তৃপক্ষ ও বাংলাদেশ জুয়েলারি সমিতির নেতাদের উপস্থিতিতে স্বর্ণ মেরামতের রসিদ এবং তাদের পরিচয় পরীক্ষা করে স্বর্ণ ফেরত দেয়া হচ্ছে। বাকিদের স্বর্ণালঙ্কার ফেরতের বিষয়ে পরবর্তীতে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
দুপুরে ডিসিসি মার্কেটের আপন জুয়েলার্সের শোরুমে শুল্ক গোয়েন্দার কর্তব্যরত সহকারী পরিচালক আরজিনা খাতুন বলেন, গতকালও গ্রাহকদের ফোন করা হয়েছে। আজও সকালে ফোন করে স্মরণ করিয়ে দেয়া হয়েছে গ্রাহকদের।
শুল্ক গোয়েন্দা সদর দফতর সূত্র জানায়, আপন জুয়েলার্সের প্রকৃত গ্রাহকদের স্বর্ণালঙ্কার ফেরতের সময় গত সপ্তাহে নতুন করে ২৯ মে সকাল ১০টায় পুনর্নির্ধারণ করা হয়। আপন জুয়েলার্সের পক্ষ থেকে এ পর্যন্ত ১৮২ জনের স্বপক্ষে প্রায় সাড়ে ৩ কেজি ফেরতযোগ্য স্বর্ণের হিসাব পাওয়া গেছে। এসব গ্রাহকদের রসিদ ও জাতীয় পরিচয়পত্র/পাসপোর্টসহ উপস্থিত হতে অনুরোধ করা হয়েছে।
এদিকে, আপন জুয়েলার্স থেকে জব্দকৃত স্বর্ণের বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দিলদার আহমেদসহ মালিকপক্ষকে ৩০ মে বেলা ১১টায় কাগজপত্রসহ হাজির হতে পুনরায় তলব করা হয়েছে।
গত ১৪ ও ১৫ মে সুনির্দিষ্ট অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে শুল্ক গোয়েন্দারা আপন জুয়েলার্সের বিভিন্ন শোরুমে অভিযান চালিয়ে প্রায় ১৩ দশমিক ৫ মণ স্বর্ণালঙ্কার ও ৪২৭ গ্রাম ডায়মন্ড জব্দ করেন। এখন পর্যন্ত মালিকপক্ষ এসবের কোনো বৈধ কাগজ দেখাতে পারেননি। ধারণা করা হচ্ছে তারা এই স্বর্ণ চোরাচালানের মাধ্যমে সংগ্রহ করেছেন। এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে গত ১৭ মে কাকরাইলে শুল্ক গোয়েন্দা অধিদফতর কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে আপন জুয়েলার্সের মালিক ৪ ভাই জব্দকৃত স্বর্ণের স্বপক্ষে বৈধ কাগজ দেখাতে সময়ের আবেদন করেন।
জেইউ/এসআর/ওআর/আরআইপি