পুরান ঢাকায় ইফতারে বাহারি শরবত
পবিত্র রমজানের প্রথম দিনেই ইফতারিতে ব্যাপক সাড়া পাচ্ছে বাহারি রকমের শরবত। রোজাদাররা ইফতারের বিভিন্ন উপাদানের সঙ্গে বিভিন্ন রকমের শরবতকে প্রাধান্য দিচ্ছে। ঐতিহ্যবাহী পুরান ঢাকার ইফতারি দোকানগুলোর পাশাপাশি শরবতের দোকানগুলোতে ভিড় বাড়ছে। বিক্রেতারাও পসরা সাজিয়েছেন নানান প্রজাতির শরবত।
৩০ বছরের মধ্যে এবারের রোজায় দিন সবচেয়ে বড়। তাছাড়া তীব্র তাপদাহে হাসফাঁস করছে রোজাদার নগরবাসী। বাড়ছে তৃষ্ণা। সারাদিন দীর্ঘ রোজা রাখার পর ক্লান্তি দূর করতে ইফতারে এক গ্লাস ঠান্ডা শরবত যেন না হলেই নয়। তাই প্রাণজুড়ানো শরবতই চায় ইফতারে। আর রোজাদারদের এমন চাহিদা মেটাতে প্রস্তুতও রয়েছে দোকানিরা।
পুরান ঢাকাসহ রাজধানীর বিভিন্ন ইফতারির দোকান ঘুরে দেখা গেছে, দোকানিরা রোজাদারদের জন্য বেশ কিছু রকমের শরবত তৈরি করে রেখেছেন। এর মধ্যে আদা লেবুর শরবত, শসার শরবত, আমের শরবত, তরমুজের শরবত, আনারসের শরবত, জামের শরবত, বেলের শরবত, পুদিনার শরবত, বাঙ্গির শরবত, লেবু পুদিনা, পাকাজামের শরবত, তেঁতুলের শরবত, রুহ্ আফজার শরবত, আপেল ও মাল্টার শরবত অন্যতম। ১০-২০ টাকা করে এসব শরবত বিক্রি হচ্ছে।
পুরান ঢাকার জন্য বিখ্যাত শরবতের দোকান নাজিরা বাজারের বিউটির শরবত ও চকবাজারের নুরানী শরবত। এ দুটি দোকানে পাওয়া যায় মজার মজার বিভিন্ন প্রজাতির শরবত।
এই বাজারের বেশ কয়েকটি দোকানে দেখা গেছে, ছোট ছোট বোতল ভর্তি করে শরবত বিক্রি হচ্ছে। এক লিটার শবরত বিক্রি হচ্ছে ৫০-৬০ টাকায়। আর গ্লাস হিসেবে বিক্রি হচ্ছে ১০-২০ টাকা।
ইফতারি কিনতে আসা একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা শরিফুল ইসলাম বলেন, এ বছর গরমেরই রোজা পড়েছে। সারা দিন তৃষ্ণার্ত থাকতে হয়। তাছাড়া রমজানে শরবতের প্রতি সবার একটু বেশি আগ্রহ থাকে। সে জন্যই শরবত কেনা।
এ বিষয়ে এক দোকানি জানান, ইফতারে অন্য আইটেমের সঙ্গে শরবতও গুরুত্বপূর্ণ একটি আইটেম। গরমের মধ্যে সবাই শরবতের দিকে একটু বেশি নজর দেন। বেচা বিক্রিও বেশ ভালো হচ্ছে।
এমএসএস/জেএইচ/জেআইএম