নড়াইলে গৃহবধূ নির্যাতন : হাইকোর্টের নির্দেশনা পায়নি পুলিশ
নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার শালবরাত গ্রামে গৃহবধূ ববিতা খানমকে (২০) নির্যাতনের মামলার আসামিদের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেফতারের নির্দেশের বিষয়ে কোনো অফিসিয়াল নির্দেশনা পায়নি নড়াইলের পুলিশ প্রশাসন।
এ ব্যাপারে নড়াইলের পুলিশ সুপার সরদার রকিবুল ইসলাম এবং লোহাগড়া থানা পুলিশের ওসি শেখ লুৎফর রহমানের সঙ্গে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে ফোনে যোগাযোগ করা হলে তারা বলেন, আমরা এ ব্যাপারে এখনও কোনো ফ্যাক্স বা ইমেইল হাতে পাইনি।
এদিকে এ ঘটনায় জড়িত অভিযোগে বৃহস্পতিবার (৭ মে) এ মামলার আসামি ববিতার চাচা-শ্বশুর কালাম শেখ ও শনিবার তার আরেক চাচা-শ্বশুর হিরু শেখকে গ্রেফতার করেছে লোহাগড়া থানা পুলিশ।
প্রসঙ্গত, নড়াইলে এক গৃহবধূকে গাছের সঙ্গে বেঁধে শ্বশুরবাড়ির লোকদের নির্যাতনের ঘটনায় জড়িতদের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেফতার করতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। রোববার বিচারপতি কাজী রেজাউল হক ও বিচারপতি আবু তাহের মো. সাইফুর রহমান সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের একটি ডিভিশন বেঞ্চ এ আদেশ দেয়।
একই সঙ্গে জড়িতদের গ্রেফতার করা হয়েছে কি না- এ বিষয়ে আগামী ১৮ মে নড়াইল জেলা প্রশাসক (ডিসি) ও জেলার লোহাগড়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) আদালতে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
এছাড়াও নির্যাতনের শিকার গৃহবধূর চিকিৎসা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে জেলার ডিসি, পুলিশ সুপার (এসপি) সহ সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট এবং নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে কেন জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে না- তা জানাতে চেয়ে সংশ্লিষ্টদের প্রতি রুলও জারি করেছে আদালত।
মানবাধিকার সংগঠন হিউমেন রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ (এইচআরপিবি) এর পক্ষে আনা একটি রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে এ আদেশ দেয় আদালত। রিটের পক্ষে আদালতে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মনজিল মোরশেদ। অপরদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি এটর্নি জেনারেল তাপস কুমার বিশ্বাস।
# গৃহবধূকে গাছে বেঁধে নির্যাতন : জড়িতদের গ্রেফতারে নির্দেশ
এমএএস/আরআই