ঘূর্ণিঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে দুই লাখ কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত!
সরকারি হিসেব অনুযায়ী এ মৌসুমের প্রাকৃতিক দুর্যোগ অর্থাৎ ঘূর্ণিঝড় ও শিলাবৃষ্টির কারণে ২২টি জেলা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। মোট ক্ষতিগ্রস্ত জমির পরিমাণ ২০ হাজার ৩৪৮ হেক্টর। আর ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকের সংখ্যা দুই লাখ ১৩ হাজার ৫১৬ জন। সরকার ইতিমধ্যেই দুই লাখ ১০ হাজার কৃষককে প্রণোদনার জন্য অর্থের পরিমাণ ৩০ কোটি ২১ লক্ষ টাকা বরাদ্দ দিয়েছে।
রোববার বিকেলে জাতীয় সংসদ ভবনে কৃষি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির অষ্টম বৈঠকে এসব তথ্য জানানো হয়। কমিটি সভাপতি মো. মকবুল হোসেন বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন। কমিটির সদস্য কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী, মো. আব্দুর রাজ্জাক, আব্দুল মান্নান, মো. নজরুল ইসলাম বাবু, মো. মামুনুর রশিদ কিরন, একেএম রেজাউল করিম তানসেন, মো. নুরুল ইসলাম ওমর এবং অ্যাডভোকেট উম্মে কুলসুম স্মৃতি বৈঠকে অংশ নেন।
বৈঠকে কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশনে (বিএডিসি) বিদ্যমান জনবল নিয়োগ প্রক্রিয়া দ্রুত সম্পন্ন করার সুপারিশ করে কমিটি। এছাড়া বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষে একজন অভিজ্ঞ চেয়ারম্যান ও নির্বাহী পরিচালক নিয়োগ এবং বরেন্দ্র কর্তৃপক্ষের আওতাধীন সার্বিক কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য জনবল নিয়োগসহ কর্মরত জনবলকে স্থায়ী কাঠামোর আওতায় আনার সুপারিশ করে কমিটি।
বৈঠকে জানানো হয়, বর্তমানে ধানের মুল্য খুবই কম, এ বিষয়টি দ্রুততার সঙ্গে দেখা এবং চাল রপ্তানীতে কর আরোপ করা, চাল আমদানি করার বিষয়ে শুল্ক আরোপের সুপারিশ করা হয়।
এছাড়া সরকারিভাবে গম ক্রয়ের সময়সীমা বৃদ্ধিসহ কৃষকগণকে উৎপাদিত ফসলের ন্যায্যমূল্য প্রদান এবং কৃষকদের কৃষি পণ্য উৎপাদনের জন্য প্রণোদনা প্রদানের বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করা হয়।
খাদ্য, ত্রাণ ও দুর্যোগ মন্ত্রণালয়ের টিআর ও কাবিখার বিদ্যমান যে দর আছে বর্তমান বাজার দরের সঙ্গে তা সমন্বয় করা এবং ধান ও গমের উৎপাদনের বিষয়ে সঠিক তথ্য কমিটির পরবর্তী বৈঠকে উস্থাপনের বিষয়ে মন্ত্রণালয়কে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সুপারিশ করা হয়।
বৈঠকে কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিবসহ মন্ত্রণালয় এবং জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এইচএস/বিএ/আরআই