অদ্ভুত এক প্রেমিকের গল্প নিয়ে পেন্ডুলাভ
ছাত্রজীবন শেষ হলে চাকরিতে ঢুকতে হবে- এমনটা মনে করেনা রোদ। তাই ফুরফুরে জীবন-যাপন করছে সে। তার জীবনে কোনো ক্রাইসিস নেই। ক্লাসমেট তামান্নার সঙ্গে প্রেম করে সে। তামান্নার মা রোদকে পছন্দ করেনা। এই সামান্য অপছন্দের কারণে রোদের সঙ্গে ব্রেকআপ করে তামান্না।
বিচ্ছেদ সইতে না পেরে আত্মহত্যা করতে যায় রোদ। আত্মহত্যার বদলে আরেকটি প্রেমে পড়ো- এই থিওরি বাতলে রোদের জীবনে আসে অবন্তী। এবার অবন্তীর প্রেমেই পড়ে সে। কিছুদিন ভালো কাটে। এই প্রেমেও বিচ্ছেদ লেখা ছিলো রোদের ভাগ্যে! আবার ভেঙে পড়ার পালা।
কিন্তু তা আর ঘটেনা। এবার সে নিজে থেকে প্রেমিকা খোঁজার মিশনে নামে। ‘দেখে শুনে বুঝে’ প্রেম করবো পদ্ধতি অবলম্বন করে সে। এক বন্ধুর পার্টিতে রোদের পরিচয় হয় বিন্তির সাথে। ভালো লাগা রূপ নেয় ভালোবাসায়। এদিকে রোদ বেশ সন্দেহপ্রবণ হয়ে ওঠে দিনদিন। বিন্তির প্রেম চলছিলো মোটামুটি। ঝগড়াঝাটি করে হঠাৎ দেশের বাইরে পড়তে চলে যায় বিন্তি। আরেকটা ধাক্কা আসে রোদের জীবনে।
কেটে যায় দুটি বছর। ততদিনে রোদের জীবন অনেক পাল্টে যায়। নিজের ঘরের বাইরে বের হয়না। হঠাৎ সে তামান্নার ফোন পায়। তার জীবনে তামান্না ফেরত আসে। দু’একদিন পরে ফেরত আসে অবন্তী। এর পরপরই আসে বিন্তিও।
রোদের কাছে সবাই ক্ষমা চায়। রোদ এবার তিনজনের সঙ্গে নতুন করে প্রেম শুরু করে। রোদের জন্মদিনের দিন ঘটে রক্তক্ষয়ী এক ঘটনা। রোদের ব্যক্তিগত চিকিৎসক আর বন্ধুর সামনে খুন হয় তিন প্রেমিকা তামান্না, অবন্তী আর বিন্তি।
এমন অদ্ভূত মানসিকতার একটি ছেলের গল্প নিয়ে তৈরি হয়েছে টেলিছবি ‘পেন্ডুলাভ’। সোমেশ্বর অলির রচনায় এটি পরিচালনা করেছেন মাহবুব নীল। টেলিছবিটি প্রযোজনা করেছেন সাদ্দাম বেপারী।
ইদুল ফিতর উপলক্ষে নির্মাণ করা এই টেলিফিল্মে রোদ চরিত্রে কাজ করেছেন ছোট পর্দার জনপ্রিয় মুখ আরফান নিশো। তিন প্রেমিকার চরিত্রে অভিনয় করেছেন পিয়া বিপাশা, টয়া ও তানজিকা তিশা। আরো বিশেষ দু`টি চরিত্রে অভিনয় করেছেন প্রভা ও মুনীরা মিঠু।
‘পেন্ডুলাভ’ টলিছবিটির কেন্দ্রীয় চরিত্রে রূপদানকারী নিশো বললেন, ‘এখনকার সময়ে তরুণদের সঙ্কটগুলো তুলে ধরা হয়েছে এখানে। গল্পটি সাধারণ হলেও এর উপস্থাপনাশৈলী চমৎকার। আমাকে চারটি গেটআপে দেখা যাবে। সব মিলিয়ে কাজটি বেশ উপভোগ করেছি।’
এলএ