মায়ের জন্য ভালোবাসা প্রতিদিন


প্রকাশিত: ০৬:২৮ পিএম, ০৯ মে ২০১৫

যদি প্রশ্ন করা হয় কোন শব্দে সবচেয়ে বেশি আকুলতা, বেশি আবেগ, নিবিড় টান আছে, বিতর্ক ছাড়াই একটি উত্তরই আসবে পৃথিবীজুড়ে- ‘মা’।

‘মা’ একটি আশ্রয়ের নাম। এই একটি শব্দই মনে করিয়ে দেয় অকৃত্রিম স্নেহ, মমতা আর ভালোবাসার কথা।

শুধু বিশেষ দিন নয়; মায়ের প্রতি সন্তানের ভালোবাসা প্রতিটি দিনের। প্রতিটি ক্ষণের। মায়ের জন্য বিশেষ দিন থাকার দরকার আছে কি-না তা নিয়ে বিতর্ক থাকুক। তবে, একটি বিশেষ দিনে না হয়, মাকে একটু বেশিই ভালোবাসি। যারা আজও বলেননি, মা তোমাকে ভালোবাসি, তারা না হয় আজ ভালোবাসার কথাটি মুখ ফুটে বলুন।

বিশ্বের নানা প্রান্তে রোববার পালিত হচ্ছে মা দিবস। হয়তো মায়ের হাতে মা দিবসের কার্ড দিয়ে কিংবা মায়ের প্রিয় রঙের শাড়িটি তুলে দিয়ে। অথবা মাকে চমকে দিয়ে তার প্রিয় খাবারটি নিজের হাতে রান্না করে। অপরিশোধ্য মাতৃঋণের বদলে মাকে ক্ষণিকের আনন্দ দিয়ে খুশি হবে সন্তানেরা। দূরে থাকা মায়ের ছোঁয়া যারা পাবেন না, তারা দ্বারস্থ হবেন মুঠোফোনের।

বর্তমানে প্রচলিত মা দিবসের সূচনা হয় ১৯০৮ সালে। শতাব্দীর শেষ দিকে যুক্তরাষ্ট্রের ফিলাডেলফিয়ার এক স্কুলশিক্ষিকা অ্যানা জারভিস সেখানকার পারিবারিক বিচ্ছিন্নতা দেখে মর্মাহত হয়ে মায়ের জন্য বিশেষ দিন পালনের মাধ্যমে সচেতনতা সৃষ্টি করার কথা ভাবলেন। তার সে ভাবনা বাস্তবায়নের আগে ১৯০৫ সালের ৯ মে তিনি মারা যান। তার মৃত্যুর পর মেয়ে অ্যানা এম জারভিস মায়ের শেষ ইচ্ছা পূরণের উদ্দেশ্যে কাজ শুরু করেন। বন্ধুবান্ধবকে নিয়ে ১৯০৮ সালে তার মা ফিলাডেলফিয়ার যে গির্জায় উপাসনা করতেন, সেখানে সব মাকে নিয়ে একটি অনুষ্ঠানের মাধ্যমে মা দিবসের সূচনা করেন। ১৯১৪ সালে যুক্তরাষ্ট্রে আনুষ্ঠানিকভাবে মে মাসের দ্বিতীয় রোববারকে মায়েদের জন্য উৎসর্গ করে সরকারি ছুটির দিন ঘোষণা করা হয়।

কর্মসূচি : মা দিবস উপলক্ষে রোববার সকাল ১১টায় আজাদ প্রডাক্টস ‘রত্নগর্ভা মা ২০১৪’ সম্মাননা দেবে সোনারগাঁও হোটেলের বলরুমে।

এসএ/এসআরজে

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।