মা-মেয়ের সম্পর্কের রসায়নের সংজ্ঞা হয় না : শারাপোভা
চার চার বারের গ্র্যান্ড স্লাম বিজয়ী মারিয়া শারাপোভার টেনিস কোর্টের বাইরেও একটি দুনিয়া আছে। স্বচ্ছ চোখে সেই দুনিয়া সম্পর্কে ধারণা নেয়ার কাজটা তার মা-ই করে দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন এ টেনিস সুন্দরী।
ছোটবেলায় বেশির ভাগ সময় কাটত বাবার সঙ্গে। কারণ মেয়েকে কোচিং করাতেন বাবা ইউরি। তবে মায়ের ভূমিকা জীবনে কতখানি, সে কথা মাদার্স ডে-র আগে স্পষ্ট ভাষায় জানিয়েছেন শারাপোভা।
তিনি বলেন, ‘যখন ছোট্ট ছিলাম, টেনিস খেলেই সময় কেটে যেত। বাবা সব সময় সঙ্গে সঙ্গে থাকতেন। কিন্তু মা খেয়াল রাখতেন আমার স্কুলের হোমওয়ার্ক ঠিক সময়ে শেষ হয়েছে কি না। ঠিকঠাক পড়া করছি কি না, সব বিষয়ে। মা আমাকে আর্ট ক্লাসেও নিয়ে যেতেন, ব্যালে ক্লাসেও নিয়ে যেতেন। ওই ক্লাসে যেতে যেতেই আমার জীবন সম্পর্কে নতুন দৃষ্টি খুলে গিয়েছিল। অ্যাথলিট হওয়া ছাড়া যে জীবনের আরও অনেক রঙ আছে, তার সঙ্গে মা-ই তো আমার পরিচয় করিয়ে দিয়েছিলেন’।
শারাপোভা আরও বলেন, ‘উনি (মা), আমার জীবনের নানা দিক দিয়ে গড়েছেন। জীবনে সঠিক পথে চলার রাস্তাটাও শিখেছি, ওঁর কাছ থেকেই। সত্যি বলতে কী, আমার চোখ খুলে দিয়েছেন মা-ই’।
মা ইয়েলিনা তার জীবনে নিষ্ঠা, দৃঢ়তা, শৃঙ্খলাও এনে দিয়েছিলেনক্ট সে কথা জানাতেও ভোলেননি শারাপোভা। তিনি বলেন, ‘উনি বুঝিয়েছিলেন, জীবনে যে পথেই এগোও, শৃঙ্খলা দরকার। পেশাগত জীবনে ওঁর এই পরামর্শ দারুণ কাজে লেগেছে’। সত্যিই মা-মেয়ের সম্পর্কের রসায়নের কোনো সংজ্ঞা হয় না। ব্যাখ্যাও হয় না।
একে/আরআইপি