নির্বাচন কমিশন আজ্ঞাবহ প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে : মাহবুবুর রহমান


প্রকাশিত: ০২:৫৬ পিএম, ০৯ মে ২০১৫

নির্বাচন কমিশন আজ্ঞাবহ প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির সদস্য লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মাহবুবুর রহমান।

শনিবার ঢাকার টিসিবি অডিটোরিয়োমে অনুষ্ঠিত বিবিসি বাংলাদেশ সংলাপের ১১৬তম পর্বে প্যানেল আলোচক হিসেবে উপস্থিত থেকে এক প্রশ্নের জবাবে এ মন্তব্য করেন তিনি।

ঢাকার দক্ষিণ গোড়ান থেকে আসা এক দর্শকের প্রশ্নের জবাবে লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব:) মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘দেশে তো নির্বাচনই হয়নি। এটাকে কি করে নির্বাচন বলবো। যেখানে নির্বাচন কমিশন আজ্ঞাবহ প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছেন, সেখানে নির্বাচন সুষ্ঠু হবে কি করে? সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে কারচুপির পর এটাই বলা যায় যে দেশে কোনো ধরণের সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ নেই।’

তিনি বলেন, ‘জাতিসংঘ মহাসচিব সিটি নির্বাচনে অনিয়মের তদন্ত করার পরামর্শ দেয়ার পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন যে বিদেশিদের কাছে মাথা নত করা হবে না। এই বক্তব্য প্রমাণ করে যে সরকার এক ধরণের চাপের মধ্যে রয়েছে’।


মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘সরকার বলছে বিদেশিরা চাপ দিচ্ছে। তবে সরকারের ওপর কোনো ধরণের চাপ রয়েছে কিনা তা বলবো না, কিন্তু সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন ব্যাপক মাত্রায় প্রশ্নবিদ্ধ বলেই সরকারের মাথা নত হয়ে যায়। কিন্তু আমরা কখনোই চাই না আমাদের প্রধানমন্ত্রী মাথা নত করে থাকুক। আমরা চাই প্রধানমন্ত্রী হিমালয়ের মতো মাথা উচু করেই থাকবেন। তবে মাথা উচু করে থাকবেন কি করে, সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন ব্যাপক মাত্রায় প্রশ্নবিদ্ধ হলে তো সরকারের মাথা নত হয়ে যায়’।

আকবর হোসেনের উপস্থাপনায় অনুষ্ঠানে প্যানেল আলোচক হিসেবে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাবেক সচিব ওয়ালি-উর রহমান ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সি আর আবরার।

ওয়ালি-উর রহমান বলেন, সরকার কোনো চাপের মধ্যে নেই। জাতিসংঘ মহাসচিবকে প্রথমে সঠিকভাবে বোঝানো হয়নি যে এটি একটি স্থানীয় পর্যায়ের নির্বাচন। পরবর্তীতে প্রধানমন্ত্রী তার বিবৃতির মাধ্যমে পরিষ্কার করে বুঝিয়েছেন।

সি আর আবরার বলেন, ‘গণমাধ্যম, সামাজিক মাধ্যমে দুর্নীতি স্পষ্ট। নিজে ভোট দিতে গেছি, দেখেছি, শুনেছি অনেকেই ভোট দিতে পারেননি। আবার অনেকের ভোট আরেকজনে দিয়েছেন’।

এক দর্শক বলেন, ‘গণমাধ্যম, সামাজিক মাধ্যমের দ্বারা  আমরাও এক মত যে নির্বাচনে দুর্নীতি স্পষ্ট। যেখানে সবাই দেখেছে-জেনেছে নির্বাচন সুষ্ঠু হয়নি, সেখানে সরকার নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে একাই বললে তো হবে না’।

মতিয়া চৌধুরী বলেন, ‘মার্কিন রাষ্ট্রদূতকে বলবো নিজের ঘর ঠিক করেন। নির্বাচন যদি সুষ্ঠুই না হবে তবে কেন বিএনপি-জামায়াত সমর্থিত প্রাথীরা প্রধানমন্ত্রীর হাতে শপথ নিলেন’?
 
ভারতের পশ্চিমবঙ্গে সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে যেখানে ৯ জন মারা গেছে সেখানে বাংলাদেশে একজনও মারা যায়নি বলেও জানান তিনি।

জেইউ/একে/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।