ভূমি ব্যবস্থাপনায় ভোগান্তি হ্রাসে ইতিবাচক হতে হবে : প্রতিমন্ত্রী


প্রকাশিত: ০১:০০ পিএম, ১৮ মে ২০১৭

ভূমি প্রতিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী বলেছেন, ভূমি ব্যবস্থাপনার আধুনিকায়ন, জনভোগান্তি ও দুর্নীতি কমাতে সংশ্লিষ্টদের ইতিবাচক মনোভাব নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে। স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা গেলে আধুনিক ভূমি ব্যবস্থাপনা গড়ে তোলা সহজ হবে।

বৃহস্পতিবার রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে ডিজিটাল ল্যান্ড ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (ডিএলএমএস) প্রকল্পের ন্যাশনাল ডিসেমিনেশন সেমিনারে তিনি একথা বলেন।

অনু্ষ্ঠানে জানানো হয়, প্রথম ও দ্বিতীয় সংশোধিত ডিএলএমএস প্রকল্পের বাস্তবায়নকাল জুলাই ২০১১ থেকে জুন ২০১৭ পর্যন্ত। জিওবি ও এডিবি এই প্রকল্পের অর্থায়ন করেছে।প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য হলো ভূমি মালিকানা নির্ধারণ অধিকতর সহজীকরণ, জনভোগান্তি ও দুর্নীতি হ্রাসে ভূমির মিউটেশন আধুনিকায়ন করা। যাতে সেবা গ্রহীতারা সহজেই অনলাইনে মিউটেশন সম্পন্ন করতে পারেন। এছাড়া ডিজিটাল পদ্ধতিতে নামজারি আরও সহজতর করে জনভোগান্তি কমানোও এ প্রকল্পের অন্যতম উদ্দেশ্য।

সেমিনারে জানানো হয়, এটি পাইলট প্রকল্প হিসেবে চার বিভাগের সাত জেলার ৪৫ উপজেলার ৪৬টি ভূমি সার্কেল অফিসে চলছে। জেলাগুলো হচ্ছে- জামালপুর, শেরপুর, গাজীপুর, গোপালগঞ্জ, পাবনা, রাজশাহী ও দিনাজপুর।

এসব জেলার ৪৫ উপজেলার মধ্যে ২০ উপজেলায় ল্যান্ড ইনফরমেশন অ্যান্ড সার্ভিস সেন্টার স্থাপন, প্রকল্পভুক্ত ৭টি জেলা রেকর্ড রুম ও ৪৬টি ভূমি অফিসে ৫৩টি সার্ভার কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে।

ডাটা সেন্টার স্থাপন অবশ্যম্ভাবী হওয়ায় ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদফতরের অভ্যন্তরে একটি কেন্দ্রীয় ডাটা সেন্টার স্থাপন করা হয়েছে। মিউটেশন ও ভূমি রেকর্ড সংরক্ষণ কাজে প্রযুক্তিগত সফটওয়্যার নির্মাণের লক্ষ্যে ভারতের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান আইএল অ্যান্ড এফএস টেকনোলজিস লিমিটেডের প্রস্তুতকৃত ডিজিটাল ল্যান্ড ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম সফটওয়্যারটি এ কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে।

তথ্য প্রযুক্তি নির্ভর প্রশিক্ষিত স্থায়ী ভূমিকর্মী মূল্যবান মানব সম্পদে পরিণত হচ্ছে। চুক্তিবদ্ধ ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান এ পর্যন্ত ৬৫ লাখ খতিয়ান ও ১৮ হাজার ৫০০টি ম্যাপ স্ক্যানের কাজ শেষ করেছে।

এছাড়া কর্ম এলাকাভুক্ত ৩৩০ কর্মকর্তা-কর্মচারী তাত্ত্বিক ও ব্যবহারিক প্রশিক্ষণ নিয়ে নিজেদের দক্ষ ভূমিকর্মীতে উন্নীত করছেন।পর্যায়ক্রমে এর সংখ্যা সারাদেশে বৃদ্ধি পাবে।

পাশাপাশি ভূমি সেবা প্রার্থীদের ডিজিটাল পদ্ধতিতে আবেদন গ্রহণসহ প্রাসঙ্গিক কাজে সহায়তার জন্য ৬৭ জন প্রশিক্ষিত কাস্টমার কেয়ার অ্যাসোসিয়েটস ভূমি তথ্য ও সেবা কেন্দ্রে নিরলসভাবে সেবা দিয়ে যাচ্ছেন।

বর্তমানে প্রকল্পভুক্ত জেলা রেকর্ডরুম ও ভূমি অফিসসমূহে ডিজিটাল পদ্ধতিতে খতিয়ান ও ম্যাপ সরবরাহ এবং সনাতন পদ্ধতির পাশাপাশি পরীক্ষামূলকভাবে ডিজিটাল পদ্ধতিতে মিউটেশন কাজ চলছে।

সেমিনারে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ভূমি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মেছবাহ উল আলম এবং বাংলাদেশে এডিবির আবাসিক মিশনের প্রিন্সিপাল কান্ট্রি স্পেশালিস্ট মিস জয়তসানা ভারমা। সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদফতরের মহাপরিচালক শেখ আব্দুল আহাদ।

প্রকল্পের লক্ষ্য, উদ্দেশ্য, কার্যক্রম ও অর্জন বিষয়ে সেমিনারে প্রবন্ধ পাঠ করেন প্রকল্প পরিচালক মো. আহসান হাবীব তালুকদার।

সেমিনারে ডিএলএমএস সফটওয়্যারের মৌলিক কার্যক্রম ও ব্যবহার বিষয়ে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ভারতের আইএল অ্যান্ড এফএস টেকনোলজিস লিমিটেডের ব্যবস্থাপক মি. রাকেশ বেদী।

এফএইচএস/এমএমজেড/এএইচ/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।