ধর্ষণের দৃশ্য প্রত্যক্ষ ও ভিডিও করে গাড়িচালক বিল্লাল : র্যাব
বনানীতে দুই তরুণী ধর্ষণ মামলার আসামি ও সাফাত আহমেদের গাড়িচালক মো. বিল্লাল হোসেনকে (২৭) সোমবার রাজধানীর নবাবপুর রোডের একটি হোটেল থেকে গ্রেফতার করেছে র্যাব। বিল্লাল সে রাতে সাফাত ও নাঈমকে ওই দুই তরুণীকে ধর্ষণ করতে দেখেছে এবং ভিডিও ধারণ করেছে বলে র্যাবকে স্বীকারোক্তি দিয়েছে।
সোমবার দিবাগত রাতে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে র্যাব-১০।
আসামিকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের পর র্যাব জানায়, সে দিন রাত ৪টায় সাফাত বিল্লালকে তার রুমে আসতে বলে। হোটেল রুমে যাবার পর বিল্লালকে বাথরুমের ফলস পার্টিশন দেয়া জায়গায় দাঁড় করিয়ে রাখেন। সে সময় ওই ঘরে সাফাত, অন্য রুমে নাঈম ওই দুই তরুণীকে ধর্ষণ করে। এরপর পাশের রুম থেকে দুই তরুণীর বন্ধু ডা. শাহারিয়ারকে জোর করে সাফাতের রুমে নিয়ে তরুণীদের গর্ভনিরোধক পিল খাওয়ানোর জন্য চাপ দেয়।
ডাক্তার ওই দুই তরুণীকে পিল খাওয়ার জন্য অনুরোধ না করায় তারা তাকে ইয়াবা দিয়ে পুলিশে ধরিয়ে দেয়ার ভয় দেখায় এবং মারধর করে। পুরো ঘটনাটি গাড়িচালক বিল্লাল ভিডিও করে।
বিল্লাল র্যাবকে জানিয়েছে, মেয়েদের সঙ্গে সাফাতের শারীরিক সম্পর্ক করার সময় সে দুই বাথরুমের মাঝখানে দাঁড়িয়ে ভিডিও করে। ধর্ষণের পর সাফাত, সাদমান, গানম্যান আজাদকে (রহমত) নিয়ে তারা গাড়িতে করে সিলেট চলে যায়। এরপর কয়েকদিন সাফাত আহমেদ ও সাদমান সাফাতের নানার বাড়িতে থাকে। গানম্যানসহ বিল্লাল একটি রিসোর্ট এ থাকে। পরবর্তীতে গানম্যান কোথায় যায় সে বলতে পারে না।
প্রসঙ্গত, এর আগে গত ২৮ মার্চ রাজধানীর বনানীর ‘দ্য রেইন ট্রি’ হোটেলে সাফাতের জন্মদিনে যোগ দিতে গিয়ে অপরাপর বন্ধুদের সহায়তায় ধর্ষণের শিকার হন ওই দুই তরুণী। ওই ঘটনার ৪০ দিন পর ৬ মে সন্ধ্যায় বনানী থানায় পাঁচজনকে আসামি করে মামলা করেন দুই তরুণী। এজাহারভুক্ত পাঁচ আসামি হলেন সাফাত আহমেদ, সাদমান সাকিফ, নাঈম আশরাফ, সাফাতের গাড়িচালক বিল্লাল ও তার দেহরক্ষী আবুল কালাম আজাদ (রহমত)।
আসামিদের মধ্যে সাফাত, সাদমান, বিল্লাল ও রহমত গ্রেফতার হলেও পুলিশের ধরাছোঁয়ার বাইরে আছেন এজাহারের দুই নম্বর আসামি নাঈম আশরাফ। সাফাত ও সাদমান গত বৃহস্পতিবার সিলেট থেকে গ্রেফতার হয়ে বর্তমানে রিমান্ডে আছেন।
এআর/বিএ