জামায়াত আমির গ্রেফতারে অর্ধ দিবস হরতাল


প্রকাশিত: ০২:০৫ পিএম, ০৫ মে ২০১৫

সোমবার রাতে গ্রেফতারকৃত নীলফামারীর ডিমলা উপজেলা জামায়াত আমির অধ্যক্ষ আব্দুস সাত্তারকে (৪৪) মঙ্গলবার বিকেলে আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ। উপজেলা আমির গ্রেফতারের প্রতিবাদে বুধবার ডিমলা উপজেলায় অর্ধ দিবস হরতাল ডেকেছে জামায়াত। ডিমলা উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারি মাওলানা মহিউর রহমান মঙ্গলবার বিকেলে হরতালের কর্মসূচির বিষয়টি সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেন।

সোমবার রাত সাড়ে নয়টার দিকে ডিমলা উপজেলা শহরস্থ জামায়াত কার্যালয় থেকে আব্দুস সাত্তারকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। সেখানে গ্রেফতারের পর জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীরা পুলিশের উপর হামলা চালিয়ে তাকে ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টার আশঙ্কায় রাতেই পুলিশ দ্রুত একটি পিকআপ ভ্যানে ওই জামায়াত নেতাকে নীলফামারী থানায় নিয়ে এসে নিরাপত্তা সেলে রাখে।

ডিমলা থানার উপপরিদর্শক মো. সুফিয়ার রহমান বসুনিয়া জাগো নিউজকে জানান, গত বছরের ৫ জানুয়ারি সংসদ নির্বাচনের আগের দিন রাতে গ্রেফতারকৃত উপজেলা জামায়াতের আমির অধ্যক্ষ আব্দুস সাত্তারের নেতৃত্বে  ১৫০/১৬০ জন দুষ্কৃতিকারী আগ্নেয়াস্ত্র, ককটেল ব্যবহার করে ডিমলা উপজেলার ১১৯নং খালিশা, চাপানী, ব্যাপারীটোলা, আলীম মাদ্রাসা ভোট কেন্দ্রে আক্রমণ করেন। এসময় ওই কেন্দ্রের প্রিজাইডিং ও সহকারী প্রিজাইডিং কর্মকর্তা, পোলিং কর্মর্তাদের গুরুত্বর আহত করেন।

এসময় কেন্দ্রের দায়িত্বরত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে দুষ্কৃতিকারীদের সংঘর্ষে জাহাঙ্গীর আলম (২৫) নামের এক শিবির কর্মী গুলিবৃদ্ধ হয়ে মারা যান। জাহাঙ্গীর খালিশা চাপানী ইউনিয়নের খালাশি চাপানী গ্রামের ইছামুদ্দিনের ছেলে এবং কারমাইকেল কলেজ ছাত্র শিবিরের সক্রিয় কর্মী।

এ ঘটনায় ৫ জানুয়ারি রাত ১২টা ১৫ মিনিটে ১১৯ নং খালিশা চাপানী, ব্যাপারীটোলা, আলীম মাদ্রাসা ভোট কেন্দ্রের প্রিজাইডিং কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম অজ্ঞাত নামা ১৫০/১৬০  জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন।

ডিমলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রুহুল আমিন খান জাগো নিউজকে বলেন, গ্রেফতারকৃত উপজেলা জামায়াত আমীর মাওলানা অধ্যক্ষ আব্দুস সাত্তারের বিরুদ্ধে ভোটের আগের দিন রাতে ব্যাপারীটোলা আলীম মাদ্রাসা ভোট কেন্দ্রে সহিংসতায় ও ৫ জানুয়ারির ভোট গ্রহণ চলাকালে নিজপাড়া ফাজিল মাদ্রাসার ভোট কেন্দ্রে অগ্নিসংযোগ করার অভিযোগ আছে। এছাড়া ব্যালট পেপার ছিনতাই এবং সহিংসতা চালানোর আরেকটি মামলায় তিনি সরাসরি সম্পৃক্ততা ছিলেন।

এই মামলা দুটির অভিযোগ পত্র চলতি বছরের ১৪ এপ্রিল আদালতে দাখিল করা হয়েছে। মামলার পর থেকে আসামি পলাতক ছিলেন। সোমবার রাতে তার অবস্থান জানতে পেরে সেখান থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
                                                                                                                                                                
জাহেদুল ইসলাম/এমজেড/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।