মেহেরপুরে বেড়েছে ডায়রিয়ার প্রকোপ
মেহেরপুরে বেড়েছে ডায়রিয়ার প্রকোপ। গত এক সপ্তাহে প্রায় ৪৫০ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন। প্রতিদিনই ভর্তি হচ্ছেন নতুন নতুন রোগী। অবকাঠোমোগত উন্নয়ন না হওয়ায় বর্তমানে ডায়রিয়া ওয়ার্ডে ১০টি শয্যার বিপরীতে প্রায় অর্ধশতাধিক রোগী ভর্তি হয়ে চিকিৎসা সেবা নিচ্ছেন। স্থান সংকুলান না হওয়ায় বারান্দায় চিকিৎসা নিচ্ছেন অনেকেই। এর সঙ্গে রয়েছে তীব্র ওষুধ সংকট। ফলে অন্য জেলা থেকে ওষুধ ধার করে রোগীদের চিকিৎসা সেবা দিতে হচ্ছে।
মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতাল ২৫০ শয্যায় রূপান্তরিত হলে বাড়েনি চিকিৎসা সেবার মান। কারণ অবকাঠামোগত উন্নয়ন না হওয়ায় ১০০ শয্যায় ভর্তি থাকছেন তিন শতাধিক রোগী। আর ডায়রিয়া ওয়ার্ডে ১০ শয্যার বিপরীতে প্রতিদিনই ভর্তি থাকছেন অর্ধশতাধিক রোগী। গত এক সপ্তাহে ৩৫০ জন রোগী ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন। তবুও কমছে না ডায়রিয়ার প্রকোপ। এর সঙ্গে রয়েছে ওষুধ সংকট।
ওষুধ সংকটের কারণে বাইরের জেলা থেকে ওষুধ সংগ্রহ করে চিকিৎসা দিতে হচ্ছে। হঠাৎ গরম পড়ায় গত কয়েক দিনে হাসপাতালে বেড়েছে ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যা। বর্তমানে হাসপাতালে ১০টি শয্যার বিপরীতে অর্ধশত রোগী ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন। চিকিৎসক ও নার্সসহ অন্যান্য বিভাগে জনবল সংকট থাকার কারণে চিকিৎসা সেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। আর প্রতি মাসেই ডায়রিয়ার প্রকোপ দেখা দিচ্ছে।
রোগীর স্বজনদের অভিযোগ হাসপাতালে ভর্তি হলেও পর্যাপ্ত চিকিৎসক ও নার্স না থাকায় ঠিকমতো চিকিৎসা পাচ্ছেন না তারা। আর স্যালাইন ছাড়া বাকি ওষুধগুলো বাহির থেকে কিনতে হচ্ছে বলে জানালেন রোগীর স্বজন ও রোগীরা।
প্রতিদিনই ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যা বাড়ায় হাসপাতালে স্যালাইনসহ অন্যান্য ওষুধের সংকট দেখা দিয়েছে। বিভিন্ন প্রক্রিয়ায় ওষুধ সংগ্রহের চেষ্টা চলছে। আর শিশু রোগীর পাশাপাশি বড়রা ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছেন বলে জানালেন হাসপাতালের শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. মৃনাল কান্তি মণ্ডল।
চিকিৎসক, জনবল ও ওষুধ সংকটের বিষয় স্বীকার করে হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ডা. তাপাস কুমার সরকার জানালেন হাসপাতালটি ২৫০ শয্যায় রূপান্তরিত হলেও ১০০ শয্যার বরাদ্দকৃত ওষুধ দিয়ে হাসপাতাল চালাতে হচ্ছে। ফলে মাঝে-মধ্যে ওষুধ সংকট দেখা দিচ্ছে। তারপরও ১০০ শয্যার জনবলও নেই এখানে। এছাড়াও ডায়রিয়া থেকে বাঁচতে পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন থাকা, বিশুদ্ধ পানি পান ও অতিরিক্ত গরমে মানুষকে কম কাজ করার পরামর্শ দিলেন তিনি।
আসিফ ইকবাল/এমজেড/আরআই