নকশি রুটি-হালুয়ায় পুরান ঢাকার শবে বরাত


প্রকাশিত: ০৩:০৩ পিএম, ১১ মে ২০১৭

পবিত্র শবে রবাত উপলক্ষে পুরান ঢাকায় উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে। মুসলমানদের কাছে পবিত্র ও মহিমান্বিত রাতটি ইবাদতের পাশাপাশি নানান খাবারের আয়োজনে ব্যস্ত সেখানকার লোকজন।

পাঞ্জাবি, টুপি, আতর, জায়-নামাজ ছাড়াও ঐতিহ্যবাহী খাবার কেনায় ব্যস্ত তারা। আর পুরান ঢাকার এই সংস্কৃতি রাজধানীজুড়েই ছড়িয়ে পড়েছে। সঙ্গে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের হালুয়া।

বৃহস্পতিবার পুরান ঢাকার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে এ চিত্র দেখা গেছে।

সরেজমিনে দেখা যায়, পুরান ঢাকার চকবাজারে শাহী মসজিদের সামনে বিভিন্ন ধরনের রুটি বেকারিতে তৈরি হয় শবে বরাতি রুটি। এসব রুটি পাখি, কুমির, মাছ, কুলাসহ বিভিন্ন আকৃতির হয়ে থাকে। কাচের টুকরা, আয়না, মার্বেল প্রভৃতি দিয়ে অলঙ্কৃত করা হয়েছে শবে বরাতি রুটি।

Dhaka

নিজেরা খাওয়ার পাশাপাশি এ রুটি বড় ট্রে বা খাঞ্চায় করে আত্মীয়-স্বজন ও প্রতিবেশীদের বাড়িতেও পাঠানো হয়ে থাকে।

লালবাগ পোস্তা এলাকার বাসিন্দা জাহাঙ্গীর আলম জাবেদ জাগো নিউজকে জানান, প্রতিবছরই তারা এ ধরনের নানা আকৃতির রুটি কেনেন। নিজেরা খাওয়ার পাশাপাশি আত্মীয়-স্বজন ও বন্ধু বান্ধবদের মধ্যেও বিলি করে থাকেন।

চকবাজারে রুটির ব্যবস্থা করছেন স্থানীয় মকবুল হোসেন। জাগো নিউজকে তিনি বলেন, তার কাছে বিভিন্ন ধরনের রুটি আছে। একেকটি রুটির দাম ৫০-৫০০ টাকা। যার যার সামর্থ্য অনুযায়ী পছন্দের রুটি কিনে বাড়ি ফিরছেন স্থানীয়রা।

Dhaka

এ ছাড়া সাত রওজার আনন্দ বেকারি, চকবাজারের বোম্বে বেকারি, জজ কোর্ট এলাকার ইউসুফ বেকারির রুটির নামডাক রয়েছে।

শবে বরাতের রুটি আর হালুয়া পাওয়া যাবে চকবাজারের আলাউদ্দিন সুইট মিট, নর্থসাউথ রোডের হোটেল আল রাজ্জাক ও ঠাটারীবাজারের স্টার হোটেলে।

এদিকে পুরান ঢাকার এই ঐতিহ্য এখন ছড়িয়ে পড়েছে রাজধানীজুড়ে। তাই রাজধানীর অভিজাত এলাকা ধানমন্ডি, গুলশান, উত্তরা আর মিরপুরের বড় বড় রেস্তোরাঁ ও মিষ্টির দোকানে পাওয়া যাচ্ছে শবে বরাতের রুটি-হালুয়া।

Dhaka

এর মধ্যে গুলশানের প্রিমিয়াম সুইটস করেছে ‘বরাতি ডালা’। এতে থাকছে নয় রকমের হালুয়া।

বৃহস্পতিবার বায়তুল বোকারম এলাকায় ঘুরে দেখা যায়, সেখানে টুপি, জায়নামাজ আর আতরের বিক্রি বেড়েছে।

সেখানকার আল্লাহর দান তজবি দোকানের মালিক মো. কায়কোবাদ জাগো নিউজকে বলেন, শবে বরাত উপলক্ষে বিক্রি বেড়েছে। সারা রাতই টুপি, আতরসহ নানা পণ্য বিক্রি চলবে।

এইচএস/এমএমএ/জেএইচ/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।