করমুক্ত আয়সীমা ২ লাখ ৭৫ হাজার করার দাবি
আসন্ন ২০১৫-১৬ অর্থবছরের বাজেটে ব্যক্তি শ্রেণির করদাতাদের করমুক্ত আয়ের সীমা সর্বোচ্চ ২ লক্ষ ৭৫ হাজার টাকা করার দাবি জানিয়েছে ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই)। চলতি বাজেটে করমুক্ত আয়ের সীমা রয়েছে ২ লক্ষ ২০ হাজার টাকা।
মঙ্গলবার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এবিআর) সম্মেলন কক্ষে ২০১৫-১৬ অর্থবছরের প্রাক-বাজেট আলোচনায় ডিসিসিআইয়ের সভাপতি হোসেন খালেদ এ দাবি জানান।
হোসেন খালেদ বলেন, বর্তমানে জীবন যাত্রার ব্যয় বৃদ্ধি ও ব্যাপক মূল্যস্ফীতির কারণে মানুষের মৌলিক চাহিদাসমূহ মেটানো কষ্টকর হয়ে দাঁড়িয়েছে। এমতাবস্থায় আমরা মনে করি ২০১৫-১৬ অর্থবছরের জন্য ব্যক্তি শ্রেণির করদাতার করমুক্ত আয়ের সীমা সর্বোচ্চ ২ লক্ষ ২০ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ২ লক্ষ ৭৫ হাজার টাকা করা প্রয়োজন।
ডিসিসিআইয়ের প্রস্তাবে, মহিলা করদাতা ও বয়স্ক নাগরিক (৬০ বছর) করদাতার ক্ষেত্রে করমুক্ত আয়ের সীমা ২ লক্ষ ৭৫ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে চার লক্ষ টাকা এবং প্রতিবন্ধি করদাতার ক্ষেত্রে তিন লক্ষ ৫০ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ৪ লক্ষ টাকা করার দাবি করা হয়।
এছাড়া বয়স্ক নাগরিকগণের কর রেয়াত সুবিধা প্রাপ্তির ক্ষেত্রে তাদের বয়স ৬৫ বছর থেকে কমিয়ে ৬০ বছর করার প্রস্তাব করা হয়।
২০১৫-২০১৬ অর্থবছরে নীট সম্পদের পরিমাণ ২ কোটি টাকার স্থলে ৪ (চার) কোটি টাকা পর্যন্ত সারচার্জের হার শূন্য করার প্রস্তাব করে। যেহেতু প্রত্যেক করদাতা কর পরিশোধ করেই এই সম্পদের মালিক হয়েছেন সেহেতু ঐ সম্পদের উপর পুনরায় সারচার্জ আরোপ করাটা অযৌক্তিক বলে মনে করে ডিসিসিআই।
আমদানি পর্যায়ে অগ্রীম আয়ের কর (এআইটি) পাঁচ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৩ শতাংশের চূড়ান্ত দায় হিসেবে বিবেচনা করার প্রস্তাব দেওয়া হয়। এছাড়া সামাজিক দায়বদ্ধতায় (সিএসআর) ব্যয়কৃত অর্থ সম্পূর্ণ আয়করমুক্ত করাসহ সিএসআরের জন্য আলাদা একটি অনুমোদিত খাত রাখার প্রস্তাব করা হয়। এছাড়াও বেসরকারি সফটয়্যার পার্কের ক্ষেত্রে ২০ বছরের জন্য ট্যাক্স হলিডে প্রস্তাব করে ডিসিসিআই।
আলোচনা সভায় এনবিআরের চেয়ারম্যান মো. নজিবুর রহমানের সভাপতিত্তে আরো উপস্থিত ছিলেন- ঢাকা চেম্বারের সেক্রেটারী, পরিচালনা পর্ষদের সদস্যবৃন্দ ও এনবিআরের সংশ্লিষ্ট সদস্যরা।
এসআই/আরএস/আরআই