বিশতলা পর্যন্ত যেকোনো মানুষকে উদ্ধার সম্ভব


প্রকাশিত: ১২:৫৯ পিএম, ১০ মে ২০১৭

ভূমিকম্প বা অগ্নিকাণ্ডে বিশতলা উচ্চতা পর্যন্ত মানুষকে উদ্ধারের সক্ষমতা অর্জন করেছে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদফতর। পাশাপাশি এখন থেকে ফায়ার সার্ভিস সদস্যরা শহরের সরু রাস্তা দিয়ে ভিতরে ঢুকে আগুন নেভাতে পারবে। পারবে রাতের বেলায়ও উদ্ধার কাজ অব্যাহত রাখতে। এছাড়া কেমিকেল কারখানায় আগুন লাগলে তাও নেভানো সম্ভব হবে।

fire

ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আলী আহম্মেদ খানের কাছে বুধবার ৮৭ কোটি টাকার ভারী যন্ত্রপাতি হস্তান্তর করেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদফতরের মহাপরিচালক মো. রিয়াজ আহমেদ। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া ও সচিব মো. শাহ্ কামাল এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

fire

মায়া বলেন, যেকোনো পরিস্থিতিতে সব ধরনের দুর্যোগ মোকাবিলার সক্ষমতা অর্জনে সরকার প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশকে নেতৃত্ব প্রদানের সক্ষমতা অর্জন করতে হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, নেপাল ভূমিকম্পে বাংলাদেশই সর্বপ্রথম সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছিল।

fire

তিনি বলেন, ইতোমধ্যে বিভিন্ন ডিপার্টমেন্টকে ৬৯ কোটি টাকার উদ্ধার যন্ত্রপাতি দেয়া হয়েছে। নতুন আরও ১৫৩ কোটি টাকার যন্ত্রপাতি কেনা হয়েছে। এর মধ্যে আজ ৮৭ কোটি টাকার যন্ত্রপাতি দেয়া হলো ফায়ার সার্ভিস বিভাগকে। বাকি যন্ত্রপাতি দেয়া হবে সশস্ত্রবাহিনী বিভাগকে। নতুন উদ্ধার সরঞ্জাম দিয়ে ফায়ার সার্ভিসের ২৫০টি ইউনিট একসঙ্গে উদ্ধার কাজ পরিচালনা করতে পারবে। পারবে একবারে ৬০ টন ধংসস্তূপ অপসারণ করতে।

fire

ভূমিকম্প ও অগ্নিকাণ্ডে পারিবারিক ও প্রতিষ্ঠানভিত্তিক সচেতনতা ও প্রস্তুতির ওপর গুরুত্বারোপ করেন মন্ত্রী বলেন, মহল্লাভিত্তিক সাড়াদান কর্মীবাহিনী গড়ে তুলতে হবে। মহল্লাবাসীকেই এলাকার ভূমিকম্প ও অগ্নিকাণ্ড মোকাবেলার পরিকল্পনা তৈরি করে সে অনুয়ায়ী প্রস্তুতি নিতে হবে।

fire

তিনি আরও বলেন, সম্পদের চেয়ে, ভূমির চেয়ে নিজের ও পরিবারের জীবনকে অধিক মূল্য দিতে হবে। শহরের সরু রাস্তা প্রশস্থ করতে এবং জরাজীর্ণ ভবন ভেঙ্গে নতুন ভবন নির্মাণে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। বিল্ডিং কোড মেনে ঘরবাড়ি, কলকারখানা, অফিস-আদালত নির্মাণ করতে হবে।

fire

মন্ত্রী পরে নতুন ক্রয়কৃত বিভিন্ন যন্ত্রপাতির সাহায্যে ভূমিকম্প ও অগ্নিকাণ্ডের উদ্ধার মহড়া প্রত্যক্ষ করেন।

এফএইচএস/এমএমজেড/ওআর/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।