বরিশালে ছাত্রলীগের দু’পক্ষের সংঘর্ষে আহত ৫


প্রকাশিত: ০২:৪২ এএম, ০৫ মে ২০১৫

বরিশাল পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের প্রধান ছাত্রাবাসে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে পাঁচজন আহত হয়েছেন। এসময় দুই পক্ষের মধ্যে ধারালো অস্ত্র নিয়ে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। সোমবার রাত সাড়ে ১০ টার দিকে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

আহতরা হচ্ছেন, ইলেক্ট্রনিক্স বিভাগের ৩য় বর্ষের আবাসিক ছাত্র জহিরুল ইসলাম তামিম এবং বহিরাগত ছাত্রলীগ কর্মী ইমন, জাহিদ, সবুজ ও মারজান ।

ছাত্রবাসের আবাসিক ছাত্র মো. মহসিন জানান, নিজেদের মহানগর ছাত্রলীগ কর্মী পরিচয় দিয়ে রাতে ইমন, সোহাগ, জসিম, সাইদুল, জুয়েল, সামসুদ্দিন ফয়সাল, তৌহিদ, সবুজ, জাহিদ, বজিদুল ও মারজান ছাত্রবাসের ২০১ নং কক্ষে জোড়পূর্বক মাদক সেবন করবে বলে আসে।

এসময় তাদের বাধা দেয় ওই কক্ষের  বসবাসরত ইলেক্ট্রনিক্স বিভাগের ৩য় বর্ষের আবাসিক ছাত্র জহিরুল ইসলাম তামিম। এতে বহিরাগত ইমন ও সামসুদ্দিন ক্ষিপ্ত হয়ে তামিমকে বেধরক মারধর করে। এ খবর ছাত্রাবাসে ছড়িয়ে পড়লে জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক অনুসারী ছাত্রলীগ কর্মীরা একত্রিত হয়ে বহিরাগতদের উপর হামলা চালায়। এতে দু’পক্ষের মধ্যে তুমুল সংঘর্ষ বেধে যায়। ভাংচুর করা হয় ২০১ নং কক্ষটি। ফলে পুরো ক্যাম্পাসে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পরে বহিরাগত ছাত্রলীগ কর্মীরা তাদের দল ভারী করে ধারালো অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে ফের হামলা চালাতে আসে। এসময় সাধারণ শিক্ষার্থীদের গণধোলাই খেয়ে ইমন, জাহিদ, সবুজ, মারজান আহত হয়। এদিকে ছাত্রবাসে পুলিশ এসে পড়লে বহিরাগতরা পালিয়ে যায় ।

ছাত্রবাস কর্তৃপক্ষ জানায়, জেলা মহানগরের নামে দুই পক্ষে বিভক্ত এ সকল ছাত্রলীগ কর্মীরা প্রায়ই মাদক সেবনের মত বিতর্কিত কাজ নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পরে। এতে হলের আবাসিক ছাত্রদের পড়াশুনার ক্ষতি হচ্ছে। বিষয়টি বন্ধে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।

ঘটনাস্থল পরিদর্শনকারী কোতয়ালি মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) দেলোয়ার হোসেন জানান, ছাত্রাবাসে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে মারামারি হয়েছে। এই ঘটনায় কাউকে আটক করা যায়নি। এখন পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

সাইফ আমীন/এসএস/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।