‘বাংলাদেশে বায়ু দূষণের বৃহত্তর একক উৎস হবে রামপাল’


প্রকাশিত: ০২:৩১ পিএম, ০৫ মে ২০১৭

সুন্দরবন রক্ষা জাতীয় কমিটির আহ্ববায়ক সুলতানা কামাল বলেছেন, প্রস্তাবিত মৈত্রী কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের ফলে বাংলাদেশে বায়ু দূষণকারী উৎসের মধ্যে বৃহত্তর একক উৎস হবে রামপাল।

শুক্রবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) গোলটেবিল মিলনায়তনে ‘রামপাল কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের বায়ুর বিষাক্ততা ও মানবদেহের ওপর এর প্রভাব’ শীর্ষক একটি আন্তর্জাতিক গবেষণা প্রকাশকালে তিনি এ কথা বলেন। সুন্দরবন রক্ষা জাতীয় কমিটি ও বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে।

রামপাল প্রকল্প নিয়ে বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয় ভুল তথ্য দিচ্ছে দাবি করে সংবাদ সম্মেলনে সুলতানা কামাল বলেন, রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের ফলে বাংলাদেশ ও কলকাতার বাসিন্দারা, বিশেষ করে শিশু ও বৃদ্ধরা বায়ু দূষণে মারাত্মকভাবে আক্রান্ত হবে।

বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিম, খুলনা, অশোকনগর, কল্যাণগড়, সাতক্ষীরা, বেগমগঞ্জ, বশিরহাট, নরসিংদী, নোয়াখালী, বাসীপুর ও কুমিল্লা অঞ্চলের বিষাক্ত ধূলীকণার মাত্রা অধিক খারাপ হবে।

তিনি বলেন, সমগ্র কর্মক্ষম সময়ে বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের ফলে স্ট্রোক, ফুসফুসে ক্যান্সার, বয়স্কদের শ্বাসতন্ত্রের সঙ্গে শিশুদের শ্বাস-প্রশ্বাসের উপসর্গের ঝুঁকি অনেকগুণ বেড়ে যাবে। এছাড়া এই বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রভাবে বছরে ৬ হাজার মানুষের অকাল মৃত্যু এবং ২৪ হাজার শিশু কম ওজনে জন্ম নেবে বলেও গবেষণায় উঠে এসেছে।

গবেষণায় জানানো হয়, প্লান্টের স্থায়ীত্বকালে ১০ হাজার কেজি পারদ, কয়লার ছায় পুকুরে জমা হবে, যা বন্যায় প্লাবিত হতে পারে। এই অতিরিক্ত পারদ সুন্দরবন ও বঙ্গোপসাগরের জলজ খাদ্য চক্রকে আরও ঝুঁকিতে ফেলবে।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বাপা সভাপতি আব্দুল মতিন, শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. নাজমুন নাহার প্রমুখ।

জেইউ/এমআরএম/জেডএ/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।