বরিশালে ৩৪টি ভবন ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা
সাম্প্রতিক সময়ে দেশে একাধিক ভূমিকম্পের পর সিটি কর্পোরেশন নগরীতে ৩৪টি ভবনকে ঝুঁকিপূর্ণ ভবন হিসেবে চিহ্নিত করেছে।
বহু বছরের পুরনো ও নিয়ম না মেনে নির্মিত এসব ভবনের মালিকদের ইতোমধ্যে চিঠি দেয়া হয়েছে। তাই বড় ধরনের দুর্ঘটনা এড়াতে এসব ভবনের বাসিন্দাদের সরিয়ে নেয়াসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন নগরবাসী।
সূত্র জানায়, নগরীতে অধিক ঝুঁকিপূর্ণ ভবনগুলো হচ্ছে, কাউনিয়ার জানুকিসিং রোড এলাকার লস্কার ভবন, কাউনিয়া প্রধান সড়কের সিরাজ মহল, বেনী লাল মহল, পূর্ব বগুড়া রোডের রবীন্দ্রনাথ ভবন, আগরপুর রোডের মহিলা কলেজের দক্ষিণ পার্শ্বের মনু ভবন, ফজলুল হক অ্যাভিনিউ রোডের বাহাদুর ভবন ও গোল্ডেন টাওয়ার, সার্কুলার রোডের মুনসুর ভবন, ঈশ্বর বসু রোডের সৈয়দ মঞ্জিল, অমৃত লাল দে কলেজের দক্ষিণ পার্শ্বের মৃধাভবন, কালু শাহ সড়কের জালাল ভবন, মেজর এম জলিল সড়কের হাতেম আলী কলেজের সৈয়দ আলমগীর হোসেন ছাত্রাবাস ও কলেজের জ্ঞানবিজ্ঞান ভবন, সদর রোডের ফরিদ উদ্দিনের ক্ষণিকা মেডিকেল লেন, সরকারি বিএম কলেজের সুরেন্দ্র ভবন ও বনমালী গাঙ্গুলী ছাত্রীনিবাস, বগুড়া রোডের সালমা ভবন, ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন সড়কের পশ্চিম পার্শ্বের হাজী ভবন, নগর ভবনের পেছনের পরিত্যক্ত হাজতখানা, শেবাচিম হাসপাতালের সামনের ক্ষণিকা ভবন, কলেজ রোড এলাকার ফরিদ ভবন, উপজেলা পরিষদ বরিশাল সদর ভবন, সদর রোডের সৈয়দ ভবন, রূপাতলীর নলছিটি প্লাজা, কাঠপট্টির মিল্লাত ফার্মেসি, চন্দ্রিমা ব্রাদার্স, আহম্মদ ক্লথ স্টোর্স, বেলায়েত স্টোর্স, জুম্মান ব্রাদার্স, অমৃত ভবন, সৈয়দ স্টোর্স, চিত্ত ভবন, সাধনা ঔষধালয় ও হাতেম আলী কলেজ সংলগ্ন এলাকার ‘শেখ নিবাস’ নামে হেলে পড়া পাঁচতলা ভবন।
বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী খান মো. নুরুল ইসলাম জাগো নিউজকে জানান, ভবন নির্মাণের সময় সঠিক পরিকল্পনা, উপযুক্ত মালামালের ব্যবহার ও তদারকির জন্য দক্ষ প্রকৌশলী নিয়োগ না করায় ভবনগুলো দীর্ঘস্থায়ী হচ্ছে না। নির্মাণের শুরুতেই এ বিষয়গুলো দেখভাল করলে ভবন স্থায়ী হতো।
বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আহসান হাবিব কামাল জাগো নিউজকে বলেন, তারা ঝুঁকিপূর্ণ ৩৪টি ভবনের মালিকদের প্রাথমিকভাবে চিঠি দিয়েছেন। মালিকপক্ষ জরুরিভিত্তিতে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে সিটি কর্পোরেশন ঝুঁকিপূর্ণ ভবনগুলো ভেঙে ফেলবে।
সাইফ আমীন/এমজেড/আরআইপি