টাকা পাচারের বিষয়ে সংসদে অর্থমন্ত্রীর বিবৃতি দাবি

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৪:৫৪ পিএম, ০৩ মে ২০১৭

বাংলাদেশে থেকে পাচার হয়ে যাওয়া টাকার বিষয়ে জাতীয় সংসদে অর্থমন্ত্রীর বিবৃতি দাবি করেছেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) সংসদ সদস্য মইন উদ্দীন খান বাদল। তিনি বলেছেন, এভাবে টাকা যদি সমাজের একটি অংশের কাছে জমা পড়ে, আগামী দিনে সংসদ এই অর্থচোরদের কাছে জিম্মি হয়ে যাবে।

বুধবার জাতীয় সংসদে অনির্ধারিত আলোচনায় অংশ নিয়ে একথা বলেন তিনি। বাদল বলেন, সংসদে এ রকম একটি বিষয় যদি এড়িয়ে যাই তাহলে আমাদের সর্বনাশ হবে। আজকে বাংলাদেশের সমস্ত পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে ২০০৫ থেকে ২০১৪  সাল পর্যন্ত ৭ হাজার ৫৮৫ কোটি ডলার (৬ লাখ ৬ হাজার ৮৬৮  কোটি টাকা) বাংলাদেশ থেকে পাচার হয়েছে। এর মধ্যে আবার ২০১৪ সালে ৯১১ কোটি ডলার বা ৭২ হাজার ৮’শ ৭২ কোটি টাকার সমান পাচার হযেছে।

তিনি আরও বলেন, ২০১৪ সালে যে টাকা পাচার হয়েছে সেটা আমাদের দেশের এই বছরের পরিবহন, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, বিদ্যুৎ, কৃষি, পানিসম্পদ উন্নয়ন খাতে যে বাজেট তার সমান।

বাদল বলেন, প্রধানমন্ত্রী আপ্রাণ চেষ্টা করছেন। দেশের উন্নয়ন হচ্ছে। কিন্তু এই ধরনের যদি গর্ত থাকে সেই গর্ত সমস্ত উন্নয়ন খেয়ে  ফেলবে। আর এ ব্যাপারে যদি জাতি সিদ্ধান্ত নিতে না পারে, তাহলে চূড়ান্ত এক অব্যবস্থাপনা আমাদের সামনে অবস্থান করছে।

তিনি বলেন, এই যে টাকা চলে যায় সেই ব্যাপারে আমাদের কোনো কথাবার্তা নাই। এটি কিন্তু কোনো শুভ বিষয় না। এ ব্যাপারে আমি অর্থমন্ত্রীর বিবৃতি আশা করি। আপনি (অর্থমন্ত্রী) আপনার অন্য কাজ বন্ধ করেন। সংসদে উত্তর দেন এই টাকা যাচ্ছে কীভাবে। কারা পাচার করছে।

জাসদের এই নেতা বলেন, অর্থমন্ত্রী আমাদের আশ্বস্ত করবেন। কিন্তু হঠাৎ করে অর্থমন্ত্রী বললেন, এই ধরনের লোকদের হাত অনেক লম্বা। এটি বলেই উনি খালাস হয়ে গেলেন। আপনার কাছে তো এই জবাব চাইব না। আমি একজন সংসদ সদস্য হিসেবে আপনার কাছে পরিষ্কার জবাব চাই। আমাদের শাসনামলে আমরা প্রকৃতপক্ষে কী কী করেছি, এটা রোধ করার চেষ্টা করছি কিনা সে বিষয়ে জানতে চাই। এই ভাবে টাকা যদি পাচার হয়ে যায় তাহলে নিম্ন মধ্যম আয়ের দেশ থেকে মধ্য আয়ে পৌঁছতে হবে না। পিছন দিকে কোথায় পৌঁছব সেটাই এখন বিবেচনা করতে হবে।

এইচএস/জেএইচ/ওআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।