রূপগঞ্জে যেভাবে তৈরি হয় জাহাজ


প্রকাশিত: ০৫:৪৭ এএম, ০২ মে ২০১৫

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদীর দুই তীর ঘেঁষে গড়ে উঠেছে বিশাল জাহাজের চর। উপজেলার ৩ ইউনিয়ন জুড়ে গড়ে উঠা প্রায় ৮০টি জাহাজ কারখানা এখন হাজার মানুষের পদচারণায় কর্মমুখর এক জনপদ। কাটিং জাহাজের শিটে এ অঞ্চলে তৈরি হচ্ছে বালুর ছোট বাল্কহেড থেকে শুরু করে কার্গো জাহাজ ও যাত্রীবাহী বিশাল সব লঞ্চ, ফেরী ও পল্টন।

জাহাজ তৈরিতে মূলত ব্যবহার হয় লোহার প্লেনশীট আর এঙ্গেল। মেশিন সরাসরি আমদানি করতে হয় চীন থেকে। অতিরিক্ত উপাদান বলতে টি-গার্ডার, বিট-গার্ডার, রং, ইট, বালি, সিমেন্ট, গ্যাস সিলিন্ডার, অক্সিজেন, ওয়েল্ডিং রড আর লেদ মেশিনের কিছু খুচরো কাজ।

একটি বড় মাপের কোষ্টার জাহাজ তৈরির জন্য প্রথমে রাজমিস্ত্রি বেইস লাইন তৈরি করেন। পরে ঠিকাদারের নির্দেশনাক্রমে ফিটাররা জাহাজের মলিন তৈরি করেন। ওয়েল্ডার ঝালাইয়ের মাধ্যমে জাহাজের খাঁচা তৈরি করেন। একটি বডি দাড় করানোর পর চলে মেশিন স্থাপন আর রংয়ের কাজ। বড় জাহাজে ৩/৪টি খুপড়ি বা হেস থাকে।  যেখানে ৩/৪শ টন পর্যন্ত মাল বহন করা যায়। প্লেনশীট আসে চট্রগ্রাম থেকে। বিদেশি কাটা জাহাজের ৮ থেকে ১২ মিলির শীট ব্যবহার করা হয় জাহার তৈরিতে।  

প্রতি কেজি শীট কিনতে লাগে ৬০ থেকে ৭০ টাকা। আর লোহার অ্যাঙ্গেল ৭৫/৭৬ টাকায় পাওয়া যায় স্থানীয় বাজারে। ৮/৯ লাখ টাকায় জাহাজের মেশিন আমদানি করা হয় চীন থেকে আর অন্যান্য মালামাল আছে ঢাকার বংশালে অথবা চট্রগ্রামের ভাটিয়ারীতে। সব মিলিয়ে একটি বড় জাহাজ তৈরিতে ৯/১০ কোটি টাকা খরচ হয়। এরপর মালিকরা সুবিধা মতো লাভ করে তা বিক্রি করেন। ২০/২৫জন কারিগর মিলে একটি জাহাজ তৈরি করতে সময় লাগে ১২ থেকে ১৫ মাস।

এসএস/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।