‘বাংলাদেশে গণমাধ্যমের পূর্ণ স্বাধীনতা রয়েছে’


প্রকাশিত: ১২:৪২ পিএম, ২৬ এপ্রিল ২০১৭

বাংলাদেশে তথ্যের অবাধ প্রবাহ ও গণমাধ্যমের পূর্ণ স্বাধীনতা রয়েছে বলে জানিয়েছেন জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেন।

স্থানীয় সময় বুধবার সকালে জাতিসংঘ সদর দফতরে কমিটি অন ইনফরমেশনের ৩৯তম সেশনে দেয়া বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। নিউইয়র্ক থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বহুভাষাবাদ, শান্তি ও উন্নয়নকে এগিয়ে নিতে জাতিসংঘের পাবলিক ইনফরমেশন বিভাগকে সর্বোচ্চ ভূমিকা রাখার আহ্বানও জানান তিনি।

বহুভাষিক শিক্ষাসহ বহুভাষাবাদ, সংঘর্ষ প্রতিরোধ, টেকসই শান্তি স্থাপন এবং মানবিক ও উন্নয়নমূলক বিষয়গুলোকে আরও অগ্রসর করতে জাতিসংঘের ডিপার্টমেন্ট অব পাবলিক ইনফরমেশন (ডিপিআই)-কে নিরবচ্ছিন্ন কার্যক্রমের মাধ্যমে আরও ব্যাপক ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান তিনি।

উল্লেখ্য, এ বছর ২৪ এপ্রিল থেকে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের আওতাধীন কমিটি অন ইনফরমেশনের ৩৯তম সেশন শুরু হয়েছে। পরবর্তী এক বছর এ কমিটির কাজ চলবে।

বাংলাদেশে তথ্যের অবাধ প্রবাহ ও গণমাধ্যমের পূর্ণ স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকারের সফলতার কথা তুলে ধরে স্থায়ী প্রতিনিধি বলেন, গত ৮ বছরে বাংলাদেশ সরকার ৪৪টি টেলিভিশন চ্যানেল, ২২টি এফএম রেডিও এবং ৩২টি কমিউনিটি রেডিও চ্যানেলের অনুমোদন দিয়েছে। দেশে নতুন নতুন সংবাদপত্র প্রকাশিত হচ্ছে। অনলাইনসহ স্যোশাল মিডিয়া জনপ্রিয়তা পেয়েছে। বাংলাদেশ বিশ্বাস করে সংবাদ মাধ্যমের স্বাধীনতা গণতন্ত্রের ভিত্তিকে শক্তিশালী রাখার অন্যতম নিয়ামক।

রাষ্ট্রদূত তার বক্তব্যে শান্তি ও অহিংসার সংস্কৃতি প্রতিষ্ঠা, যুদ্ধ, সহিংসতা ও বৈশ্বিক সন্ত্রাস প্রতিরোধ, নিরাপদ ও নিয়মিত অভিগমন, নারী ও শিশুর প্রতি যৌন নিপীড়ন ও সহিংসতা প্রতিরোধ, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব এবং স্বল্পোন্নত দেশসমূহের পরবর্তী ধাপে উত্তরণের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলাসহ টেকসই উন্নয়ন এজেন্ডা ২০৩০ বাস্তবায়নে ডিপিআই ও এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সব প্রতিষ্ঠানের প্রচার কৌশলের সর্বোচ্চ ব্যবহারের প্রতি বিশেষভাবে গুরুত্ব দেন।

রাষ্ট্রদূত মোমেন কমিটি অন ইনফরমেশনে কার্যকর ভূমিকা রাখার মাধ্যমে ডিপিআই-এর কর্মকৌশলকে আরও এগিয়ে নিতে বাংলাদেশ ডেলিগেশনের সর্বোচ্চ সহযোগিতার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন।

জেপি/জেএইচ/এএইচ/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।