পুঁজিবাজারের সমস্যা : বিবি ও এনবিআরের সঙ্গে আলোচনার তাগিদ
বাংলাদেশ ব্যাংক (বিবি) ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এবিআর) সঙ্গে পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্ট সমস্যাগুলো আলোচনার মাধ্যমে দ্রুত সমাধানে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জকে (ডিএসই) তাগিদ দিয়েছেন নিয়ন্ত্রণ সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান ড. এম. খায়রুল হোসেন।
বৃহস্পতিবার পুঁজিবাজারের সামগ্রিক পরিস্থিতি নিয়ে বিএসইসি চেয়ারম্যানের সঙ্গে ডিএসইর চেয়ারম্যান বিচারপতি ছিদ্দিকুর রহমান মিয়ার নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল বৈঠক করেন। বৈঠককালে বিএসইসির চেয়ারম্যান এ তাগিদ দেন।
পুঁজিবাজারে বিনিয়োগকারীদের জন্য বর্তমানে যে সমস্ত সুযোগ সুবিধা রয়েছে তা যেন আগামী বাজেটে অব্যাহত থাকে, সে ব্যাপারে যথাযথ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করবেন বলে বিএসইসির চেয়ারম্যান জানান।
একই সঙ্গে ডিএসই যেন বাজার সংশ্লিষ্ট (বাংলাদেশ ব্যাংক, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড) কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা সাপেক্ষে যে সমস্ত প্রতিবন্ধকতা রয়েছে তা দূর করার আহ্বান জানান তিনি। তিনি আরও বলেন, আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই সিডিবিএল সংক্রান্ত সমস্যাগুলো ত্রিপাক্ষিক বৈঠকের মাধ্যমে দূর করা হবে।
বৈঠকে ডিএসইর ব্যবস্থাপনা পরিচালক অধ্যাপক ড. স্বপন কুমার বালা বিভিন্ন দাবি তুলে ধরেন। এর মধ্যে রয়েছে এফসিএমএ পুঁজিবাজারের উন্নয়নে ডিএসইর জন্য কর অবকাশ সুবিধা বহাল। কোম্পানি বিনিয়োগকারীদের জন্য প্রযোজ্য মূলধনী লাভের উপর ৫৩ও ধারার অধীনে ব্যাংক, ব্যাংক বহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠান, মার্চেন্ট ব্যাংক ও ব্রোকারেজ হাউজের দায়িত্বে দেয়া উৎসে কর কর্তনের বিধান বাতিল। সিডিবিএল-এর বিভিন্ন চার্জ হ্রাস ও পে-আউট সেটেলমেন্ট প্রসেসের সীমাবদ্ধতা দূর করা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের বিভিন্ন আইন সাংঘর্ষিক উল্লেখ করে স্বপন কুমার বালা বলেন, ২০১৬ সালের ২১ জুলাইয়ের মধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের আইনানুযায়ী ইক্যুটির সিঙ্গেল এক্সপোজার ২৫ শতাংশ এবং কনসোলিটেড এক্সপোজারের ৫০ শতাংশ বাস্তবায়নের কথা রয়েছে। আবার বাংলাদেশ ব্যাংকের রেগুলেশনে বলা আছে, কিছু কিছু জিনিস এক্সপোজারে আসবে না। ফলে রেগুলেশনের যে ওভারল্যাপিং (সাংঘর্ষিক) তা সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
তিনি বলেন, এ সমস্যা সমাধানে বাংলাদেশ ব্যাংককে জানিয়েছি এবং নিয়ন্ত্রক সংস্থাকেও অবহিত করেছি। কারণ পুঁজিবাজারের সমস্যাগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বড় সমস্যা বলা হয়, ব্যাংক ও ব্যাকের সাবসিডিয়ারিদের সমস্যা।
এসআই/বিএ/পিআর