ফিরে দেখা রানা প্লাজার হাহাকার


প্রকাশিত: ০৭:৩০ এএম, ২৪ এপ্রিল ২০১৭

ইতিহাসের পাতা থেকে ২৪ এপ্রিলের অশ্রুর দাগ মুছে যাবে না কখনও। শিল্প বিপ্লবের পর মানব সভ্যতা উৎকর্ষতার যে অনন্য মাত্রা পায়, ৪ বছর আগের ঠিক এই দিনে তা যেন ম্লান হয় শ্রমিকের রক্ত আর লাশে।

বিশ্বের সবচেয়ে ভয়াবহ শিল্পভবন দুর্ঘটনায় সেদিন প্রাণ যায় ১১শ’র বেশি শ্রমিকের। সরকারি হিসেবে আহতও হন প্রায় সমপরিমাণ।

লাশ, হাহাকার, আর্তনাদ, প্রার্থনা, অশ্রু আর লড়াই- এতেই সেদিন আবদ্ধ হয়েছিল সাভার। ৪ বছরে পেরিয়ে এসে ফিরে দেখা ইতিহাসের ভয়াবহ সেই দিনটির খণ্ডচিত্র।

Ranaplaza
এ ছবিটি যখন তোলা হয়েছিল তখন কেবল ১৯৪ জনের মৃত্যুর খবর ছিল। সেই ১৯৪ জনের মধ্যে একজন ছিল এই কিশোরীর মা।

Ranaplaza
রানা প্লাজার কারখানগুলোতে যারা কাজ করতেন তাদের বেশিরভাগই ছিলেন বয়সে তরুণ। এই যুবকের কান্না তার এক স্বজনের জন্য।

Ranaplaza
সারি সারি করে রাখা মরদেহগুলোর মধ্যে একটির মুখ চিনতে পেরেছেন এই নারী, এটি তার বোনের লাশ।

Ranaplaza
এই মা খবর পেয়েছেন তার মেয়ে আর ফিরবে না।

Ranaplaza
ভবনটি ধসে পড়ার পরপরই যে যেভাবে পারেন এগিয়ে এসেছিলেন।

Ranaplaza
ধ্বংসস্তুপের নিচে প্রাণের সর্বশেষ অস্তিত্বটুকু খুঁজে পেতে চেষ্টার কারো কমতি ছিল না। নিজের জীবনেরও পরোয়া করেননি অনেকে।

Ranaplaza
ধসে পড়া ছাদের উপর ছাদ। নিচে বেঁচে আছেন কেউ কেউ। তাদের বাঁচানোর চেষ্টা।

Ranaplaza
উদ্ধারের চেষ্টার ড্রিল করে ঢালাই ভাঙা গেলেও এরপর দেখা গেল লোহার বাধা।

Ranaplaza
অগ্নি নির্বাপক বাহিনী ও স্বেচ্ছাসেবকদের প্রাণান্ত চেষ্টা।

Ranaplaza
নিহত এক শ্রমিকের মরদেহ উদ্ধার করে আনছেন উদ্ধারকারীরা।

Ranaplaza
বাড়ছে লাশের সংখ্যা। এরইমধ্যে জীবিত উদ্ধার করা গেছে এক তরুণীকে। মৃত্যু ছুঁয়ে ফেরা এই তরুণীর চোখে-মুখে আতঙ্ক। তাকে সাহস যোগানোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন এক স্বেচ্ছাসেবক।

Ranaplaza
একদিকে বাড়ছে লাশের সংখ্যা, অন্যদিকে বাড়ছে আহতের আর্তনাদ। উদ্ধারকারীরা সর্বশক্তি দিয়ে তাদের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।

Ranaplaza
যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছেন আহত এক নারী। আশার কথা এটুকুই- তিনি বেঁচে আছেন।

Ranaplaza
ধসে পড়া ভবনটির পাশেই উদ্ধারকারীদের জটলা।

Ranaplaza
উদ্ধারকারীদের চেষ্টা।

Ranaplaza
একটি লাশ উদ্ধার করে নিয়ে যাচ্ছেন উদ্ধারকারী। এই নারী আছেন তার স্বজনের সন্ধানে। ঢেকে রাখা লাশের মুখটা তিনি দেখে নিচ্ছেন। হতে পারে এটিই তার স্বজনের মরদেহ।

Plaza
দু’পাশে লাশের সারি। মাঝে বসে এই নারীর আর্তনাদের কোনো সীমা নেই।

Ranaplaza
পড়ে থাকা লাশগুলো যদি তাদেরই স্বজনের হয়। এই শঙ্কা নিয়ে মরদেহের মুখগুলো দেখে নিচ্ছেন তারা।

এনএফ/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।