হাওরের ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য মাসে ৩০ কেজি চাল ৫শ টাকা

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৮:২১ এএম, ২৩ এপ্রিল ২০১৭

অকাল বন্যায় হাওর অঞ্চলের ক্ষতিগ্রস্ত ৩ লাখ ৩০ হাজার পরিবারকে প্রতি মাসে ৩০ কেজি চাল ও ৫০০ টাকা করে সহায়তা দেবে সরকার। পরবর্তী ফসল না ওঠা পর্যন্ত এ সহযোগিতা পাবেন তারা।

রোববার সচিবালয়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া এ তথ্য জানান। হাওর এলাকায় সৃষ্ট বন্যার বিষয়ে গৃহীত কার্যক্রম ও করণীয় সংক্রান্ত আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা শেষে এসব জানান মন্ত্রী।

তিনি বলেন, আজ রোববার থেকে এ কর্মসূচি শুরু হবে। এছাড়া ওএমএসের মাধ্যমে ১ লাখ ৭১ হাজার পরিবারকে খাদ্য সহায়তা দেয়া হবে। ফসল না ওঠা পর্যন্ত ক্ষতিগ্রস্তরা এ সহায়তা পাবেন।

মোফাজ্জল হোসেন বলেন, বন্যাকবলিত চার জেলার জন্য ১০০ দিনের কর্মসূচি হাতে নেয়া হয়েছে। এই সময়ে তিন লাখ ৩০ হাজার পরিবারকে ৩৩-৩৫ লাখ মেট্রিক টন চাল ও ৫০ কোটি টাকা ত্রাণ দেয়া হবে। এই সময়ের মধ্যে পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হলে যতদিন পানি থাকবে ততদিন তাদের সহায়তা দেয়া হবে।

মন্ত্রী আরও জানান, বন্যাপ্লাবিত এলাকায় সরেজমিনে পরিদর্শন করে ক্ষয়-ক্ষতি নির্ধারণ করে সুপারিশ দিতে সভায় একটি আন্তঃমন্ত্রণালয় কমিটিও গঠন করা হয়েছে।

এদিকে একইদিন হাওরের বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে পানিসম্পদমন্ত্রী আনিসুল ইসলাম মাহমুদ বলেছেন, হাওরে বাঁধ নির্মাণে কোনো দুর্নীতি হয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। বাঁধের চেয়ে পানির উচ্চতা বেশি হওয়ায় হাওর এলাকা বন্যায় প্লাবিত হয়েছে।

হাওরপাড়ে আরও বিপদ
শনির হাওরের ঝালখালী বাঁধ ভেঙে গেছে। ফলে সেখান দিয়ে ঢুকতে শুরু করেছে অতিবৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের পানি।

শনিবার দিবাগত মধ্যরাত থেকেই হাওরের ঝালখালী (লালুয়ার গোয়ালা) বাঁধ ভেঙে হাওরে পানি প্রবেশ করতে শুরু করে। তবুও বাঁধরক্ষার শেষ চেষ্টা চালিয়ে যান হাজারও কৃষক।

সুনামগঞ্জের সবকটি হাওর তলিয়ে গেলেও তাহিরপুর উপজেলার সর্ববৃহৎ শনির হাওরটি কৃষকদের স্বেচ্ছাশ্রমে এতদিন টিকেছিল। এ হাওরে তাহিরপুর, জামালগঞ্জ ও বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার কৃষকরা প্রায় ১৮ হাজার হেক্টর জমিতে প্রতি বছর বোরা ফসল চাষাবাদ করেন।

এমইউএইচ/এনএফ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।