সিটি নির্বাচন : হতাশ ক্ষুব্ধ নাখোশ বিএনপি
সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে সরকার ও নির্বাচন কমিশন তথা ইসির ভূমিকায় বিএনপি শিবির যেন ঘোর অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়ে গেছে। এই নির্বাচনকে নিজেদের জন্য টার্নিং পয়েন্ট হিসেবে মনে করলেও তাদের সেই আশা ভঙ্গ হয়ে গেছে। তাই হতাশ ক্ষুদ্ধ আর নাখোশ হয়ে আছেন দলটির নেতাকর্মীরা।
জানা গেছে, সিটি নির্বাচনে সরকারের মারমুখী ভূমিকায় হতাশ হয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। এই নির্বাচনটি সরকার নিরপেক্ষ করে আস্থার জায়গা অর্জন করবে সেই আশায় মুখিয়ে ছিলেন তিনি। কিন্তু সরকারের এরকম আচরণে আবারো নতুন কর্মসূচির কথা ভাবতে হচ্ছে তাকে।
এদিকে চলতি বছরের ৫ জানুয়ারি থেকে টানা তিন মাসেরও বেশি সময় ধরে অবরোধ-হরতাল কর্মসূচি অব্যাহত রাখার পর সেটা নিস্ক্রিয় হয়ে যাওয়ায় সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনকে আশার আলো হিসেবেই দেখেছিলেন দলটির নেতাকর্মীরা।
কিন্তু সরকার তার সেই চিরচেনা রুপেই বিএনপিকে বধ করবে এমনটা ধারণাই করতে পারেনি দলটি। নিজেদের জনপ্রিয়তা যাচাই করার সুযোগ থেকে ফের বঞ্চিত হতে হল বিএনপিকে।
এছাড়া সিটি নির্বাচনে নিজেদের প্রার্থীদেরকে জয়ী করে জাতীয় নির্বাচনের দাবিতে আন্দোলনের একটি প্লাটফর্ম তৈরী করার পরিকল্পনা ছিল দলটির। এক্ষেত্রে হরতাল অবরোধের নামে জ্বালাও পোড়াও কর্মসূচি থেকে সরে আসার চিন্তা করেছিলেন তারা। কিন্তু বিএনপির সব পরিকল্পনাই বাস্তবতার সঙ্গে না মেলায় হতাশ ও নাখোশ হয়েছেন দলটির নেতাকর্মীরা।
ক্ষোভ প্রকাশ করে বিএনপির মহানগর পর্যায়ের এক নেতা বলেন, নতুন করে সেই ৭১ সৃষ্টি করতে না পারলে বিএনপি এই সংকট থেকে রক্ষা পাবে না। তাই নিজেদের মাঝে বিবেধ ভুলে সরকারের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের অব্যাহত রাখতে হবে। এই সরকার স্বৈরাচারের সর্বোচ্চ সীমা অতিক্রম করছে বলেও দাবি করেন তিনি।
ছাত্রদল সভাপতি রাজিব আহসান হতাশা ব্যক্ত করে বলেন, নির্বাচনের মহাআয়োজন না করে দলীয় মেয়র ও কাউন্সিলরদের নাম ইচ্ছা করলে সরকার আগেই ঘোষণা করতে পারতো। এটা সাজানো নির্বাচন। হাসিনাকে ইতিহাসের নিষ্ঠুর ভাগ্য বরণ করতে হবে।
মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক শিরিন সুলতানা জাগো নিউজকে বলেন, সিটি নির্বাচনে সরকারের নগ্ন হস্তক্ষেপে আমরা হতাশ। তবে এর চেয়ে বেশে কিছু হাসিনার কাছে আশা করাও যায় না।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য লে. জে. (অব.) মাহবুবুর রহমান বলেন, সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন নিয়ে নতুন করে বলার কিছু নেই। এটা ২০০৭ সালের ধারাবাহিকতা।
এমএম/এআরএস/পিআর