জমে উঠেছে হাব নির্বাচন


প্রকাশিত: ০৮:৫৯ এএম, ২০ এপ্রিল ২০১৭

শেষ মুহূর্তে জমে উঠেছে হজ এজেন্সিস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (হাব) নির্বাচন। ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেটসহ দেশের প্রতিটি অঞ্চল ঘুরে ভোট চাওয়ার পর এখন ভোটকেন্দ্রের সামনে এসে দাঁড়িয়েছেন প্রার্থীরা। ভোটারদের দরজায় কড়া নাড়তে নাড়তে তারা এখন ক্লান্ত। ভোট চাইতে চাইতে হাঁপিয়ে উঠেছেন প্রার্থীরা। তাদের কণ্ঠে ক্লান্তির সুর। একাধিকবার ভোট প্রার্থনার পর এখন শেষবারের মতো ভোট চাচ্ছেন হাব নেতারা।

ঢাকার পাশাপাশি চট্টগ্রাম ও সিলেটে একযোগে ভোটগ্রহণ চলছে। বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা থেকে রাজধানীর পল্টনের আনন্দ কমিউনিটি সেন্টারে হাবের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী পরিষদ নির্বাচনের (২০১৭-২০১৯) ভোটগ্রহণ চলছে। বিকেল ৫টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ চলবে। ভোটাররা দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে ভোট দিচ্ছেন। প্রার্থীরাও বারবার ভোটারদের কাছে ভোট চাচ্ছেন। একাধিকবার কোলাকুলি ও আদর-সমাদরসহ বিভিন্নভাবে ভোটারদের কাছে টানার চেষ্টা করছেন সবাই। ভোটারদের ডেকে দিচ্ছেন নানা ওয়াদাও।

সকাল থেকে একটানা ভোট প্রার্থনা করতে করতে দুপুরের দিকে অনেকটা হাঁপিয়ে পড়েছেন হাব নেতাকর্মীরা। সকালের দিকে ভোট প্রার্থনায় নানা কৌশল ও ব্যস্ততা দেখা গেলেও দুপুরের দিকে এসে অনেকেই আশপাশের দোকান ও ফাঁকা জায়গায় বিশ্রামে চলে গেছেন।

হাব নেতাদের কর্মীরা জানিয়েছেন, তারা দাঁড়িয়ে ভোট চাইতে চাইতে এখন ক্লান্ত হয়ে পড়েছেন। তাই এখন অনেকেই কিছুটা বিশ্রাম নিচ্ছেন।

হাব গণতান্ত্রিক ফোরামের কর্মী হাজি আব্দুস সালাম বলেন, ভোট চাইতে চাইতে ক্লান্ত হয়ে পড়েছি। গরমে অস্বস্তি লাগছে। কে কাকে ভোট দেবে তা একমাত্র সেই ভালো জানে। তবে আমরা সবার কাছে ভোট চাচ্ছি।

হাব গণতান্ত্রিক ফোরামের প্যানেল প্রাধন শেখ আবদুল্লাহ বলেন, নির্বাচন কি জিনিস সেটা যে নির্বাচন করে সেই জানে। ভোটারদের কাছ থেকে ভোট আদায় করা খুব কষ্টকর। সবাই কথায় ভোট দিয়ে দেন। কিন্তু ফলাফলে দেখা যায় এর উল্টো। এবারের নির্বাচনে সবার প্রচারণা খুব ভালো হয়েছে। আশা করি ভোটাররা যোগ্য প্রার্থীকে বেচে নেবেন।

তিনি বলেন, গত ৮টি বছর হাবের পিছনে ব্যয় করেছি। ভোটাররা আমার কর্মকাণ্ডে সন্তুষ্ট। চেষ্টা করেছি সব সময় পাশে থাকতে। এজেন্সিদের পাশাপাশি হজ যাত্রীদের পাশে সব সময় ছিলাম। ভবিষ্যতেও থাকতে চাই।

হাব সমন্বয় পরিষদের প্যানেল প্রধান ও হাবের সাবেক সভাপতি জামাল উদ্দিন বলেন, আমি এর আগেও দুই বছর মেয়াদে হাবের সভাপতি ছিলাম। কি করেছি না করেছি তা সবাই জানে। আমার সময়ে কোনো অনিয়ম ও দুর্নীতি করতে দেইনি। আজ অযোগ্য নেতৃত্ব ও অদক্ষতার কারণে হাবের দুর্নাম হচ্ছে। হজ নিবন্ধনসহ নানা জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে। এ থেকে মুক্তি দিতেই নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছি।

এমএসএস/এআরএস/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।