সিটিং সার্ভিস বন্ধে যাত্রীদের সহযোগিতা কামনা


প্রকাশিত: ০১:১০ পিএম, ১৫ এপ্রিল ২০১৭

সিটিং সার্ভিসের নামে যাত্রী হয়রানি ও ভাড়ার নৈরাজ্য বন্ধে সর্বসাধারণের সহযোগিতা চেয়েছে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি।

একই সঙ্গে ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতি ঘোষিত ১৬ এপ্রিল থেকে নগরীতে চলাচলরত সিটিং সার্ভিস, স্পেশাল সার্ভিস, গেটলক সার্ভিসের নামে গণপরিবহনে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় এবং পিক আওয়ারে দরজা বন্ধ করে বাস চলাচল বন্ধের মতো যাত্রীবান্ধব সিদ্ধান্ত নেয়ায় সংগঠনটিকে ধন্যবাদ জানানো হয়।

শনিবার গণমাধ্যমে প্রেরিত এক বিবৃতিতে সংগঠনের মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, যুগান্তকারী এ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন হলে যাত্রীদের দীর্ঘদিনের দুর্দশা, হয়রানি ও ভাড়ার নৈরাজ্য লাঘব হবে। যাত্রীসেবার মান বাড়বে, মাঝপথের যাত্রীদের ঘণ্টার পর ঘণ্টা রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকার বিড়ম্বনার অবসান হবে।

বিবৃতিতে জানানো হয়, ঢাকা মহানগর ও আশপাশের জেলায় বড় বাসের (ব সিরিজ) ভাড়া প্রতি কিলোমিটার ১ টাকা ৭০ পয়সা এবং মিনিবাসের (জ সিরিজ) ভাড়া ১ টাকা ৬০ পয়সা। বড় বাসের সর্বনিম্ন ভাড়া তিন কিলোমিটার পর্যন্ত সাত টাকা, মিনি বাসের তিন কিলোমিটার পর্যন্ত সর্বনিম্ন ভাড়া পাঁচ টাকা। এ হিসাবে কিলোমিটারপ্রতি ভাড়ার চার্ট অনুযায়ী ভাড়া প্রদানে জন্য যাত্রী সাধারণকে অনুরোধ জানানো হয়।

ভাড়ার তালিকা পাওয়া না গেলে বিআরটিএ ওয়েবসাইটে অথবা যাত্রী কল্যাণ সমিতির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ফোন করে নিজ নিজ রুটের ভাড়ার তালিকা সংগ্রহ করার অনুরোধ জানানো হয়। ফোন নম্বর- ৯৫৬৮৩৯৯।

বিবৃতিতে কতিপয় মুনাফালোভী অসাধু পরিবহন মালিক-শ্রমিকরা যাত্রীবান্ধব এ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির অপপ্রয়াস চালাচ্ছে বলে অভিযোগ করা হয়। বলা হয়, ওই মালিক-শ্রমিকরা তাদের সিটিং বাসগুলো লোকাল বাস হিসেবে চালালেও সিটিং সার্ভিসের মতো বাড়তি ভাড়া আদায়, যাত্রীবোঝাই হওয়ার পরও প্রতিটি বাস স্টপেজে, যেখানে সেখানে ৩-৫ মিনিট করে দাঁড়িয়ে যাত্রী তোলার হাঁক-ডাক করে যাত্রী সাধারণকে হয়রানি ও অধৈর্য করে আগের মতো সিটিংয়ে যেতে বাধ্য করবে বলে শঙ্কা প্রকাশ করে সংগঠনটি। এসব বিষয়ে যাত্রী সাধারণকে সজাগ ও সচেতন থাকারও আহ্বান জানায় সংগঠনটি।

এএস/এমএআর/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।