‘আনন্দলোকে মঙ্গলালোকে বিরাজ সত্য সুন্দর’


প্রকাশিত: ০৫:৪০ এএম, ১৪ এপ্রিল ২০১৭

বাংলা বর্ষবরণের দিনভর আয়োজনের কেন্দ্রে থাকে মঙ্গল শোভাযাত্রা। প্রতিবছরের মতো এবারও চারুকলা অনুষদ থেকে বের হয় মঙ্গল শোভযাত্রা। এবারের প্রতিপাদ্য ‘আনন্দলোকে মঙ্গলালোকে বিরাজ সত্য সুন্দর’।

শুক্রবার সকালে মঙ্গল শোভাযাত্রার শুরুতে সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর বলেন, বাঙালির সবচেয়ে বড় উৎসব নববর্ষ। সাম্প্রদায়িক শক্তির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ, পুরনো বছরকে বিদায় জানিয়ে নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে এই বর্ণিল আয়োজন।’

Boishak

সকাল ৯টা ১০ মিনিটে শুরু হওয়া শোভাযাত্রাটি শেষ হয় বেলা পৌনে ১১টায়।

আসাদুজ্জামান নূর আরও বলেন, ‘মানুষের উপস্থিতি প্রমাণ করে কোনও গোষ্ঠীর হুমকিতে বাঙালিরা দমে যাবে না। উৎসবের রঙে রঙিন হয়েছে বাংলা নববর্ষ বরণের এই আয়োজন।’

Boishak

ভ্যাপসা গরম থাকলেও মঙ্গল শোভাযাত্রায় হাজারো মানুষের প্রাণবন্ত উপস্থিতি ছিল।

শোভাযাত্রা শুরুর আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেন, ‘সকল অমঙ্গলকে দূর করে শুরু হচ্ছে আরেকটি নতুন বছর। মঙ্গল শোভাযাত্রায় মানুষের অংশগ্রহণ প্রমাণ করে, এদেশের মানুষ অসাম্প্রদায়িক চেতনায় বিশ্বাসী।’

Boishak

এ বছরের মঙ্গল শোভাযাত্রার আয়োজনের বিষয়ে মঙ্গল শোভাযাত্রা উপ-কমিটির আহ্বায়ক ও চারুকলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. নিসার হোসেন বলেন, ‘অন্যসব বছরের চেয়ে এবারের মঙ্গল শোভাযাত্রা কিছুটা ব্যতিক্রম। এর অন্যতম কারণই হলো ইউনেস্কোর স্বীকৃতি।’

Boishak

বাঙালির বর্ষবরণের আনন্দ আয়োজনে মিশে আছে মঙ্গল শোভাযাত্রার নাম। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইন্সটিটিউটের উদ্যোগে প্রতিবছরই পহেলা বৈশাখে এই মঙ্গল শোভাযাত্রা বের হয়।

এমএম/এনএফ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।