রোববার মধ্যরাত থেকে নির্বাচনী প্রচার বন্ধ
সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের সব ধরনের প্রচার রোববার মধ্যরাত থেকে বন্ধ হচ্ছে। এছাড়া শনিবার মধ্যরাত থেকে ঢাকা ও চট্টগ্রাম এ দুই মহানগরীতে বহিরাগতদের অবস্থানের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। রোববার থেকে ২৯ এপ্রিল সকাল ৬টা পর্যন্ত মহানগরী দুটিতে বন্ধ থাকবে মোটরসাইকেল চলাচল। আগামী ২৭ এপ্রিল মধ্যরাত থেকে ২৮ এপ্রিল রাত ১২টা পর্যন্ত ১২ ধরনের যানবাহন চলাচলও বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। নির্বাচন কমিশনের পরিপত্রে এসব নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।
স্থানীয় সরকার (সিটি কর্পোরেশন) নির্বাচন বিধিমালার বিধি ৭৪-এর উপ-বিধি (১) অনুযায়ী, ‘কোনো নির্বাচনী এলাকার ভোটগ্রহণ শুরুর পূর্ববর্তী ৩২ ঘণ্টা, ভোটগ্রহণের দিন সকাল ৮টা থেকে রাত ১২টা এবং ভোটগ্রহণের দিন রাত ১২টা থেকে পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টা সময়ের মধ্যে উক্ত নির্বাচনী এলাকায় কোনো ব্যক্তি কোনো জনসভা আহ্বান, অনুষ্ঠান বা তাতে যোগদান করা এবং কোনো মিছিল বা শোভাযাত্রা সংঘটিত বা তাতে যোগদান করতে পারবেন না।’
উপ-বিধি-২ অনুযায়ী, কোনো আক্রমণাত্মক কাজ বা বিশৃঙ্খলামূলক আচরণ করতে পারবেন না। ভোটার বা নির্বাচনী কার্যে নিয়োজিত বা দায়িত্ব পালনরত কোনো ব্যক্তিকে ভয়ভীতি প্রদর্শন করা যাবে না। কোনো অস্ত্র বা শক্তিও প্রদর্শন বা ব্যবহার করতে পারবেন না। উপ-বিধি (৩) অনুযায়ী, ‘উল্লেখিত আইন ভঙ্গ করলে তিনি ন্যূনতম ছয় মাস ও অনধিক ৭ বছরের কারাদণ্ড দণ্ডিত হবেন।’
জানা যায়, ২৬ এপ্রিল থেকে ২৯ এপ্রিল পর্যন্ত নির্বাচনী অপরাধ দমন ও সংক্ষিপ্ত বিচার কার্যক্রম পরিচালনার জন্য ৪৭৪ জন ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ৪৪৪ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এবং ৩০ জন বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেট রয়েছেন।
ইতোমধ্যে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ ভোটগ্রহণ নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন বেশ কয়েকজন প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী প্রার্থী ও সংশ্লিষ্টদের নির্বাচন সমন্বয়কারীরা। তবে নির্বাচন কমিশন বলছে, তিন সিটি নির্বাচনে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে। র্যাব, পুলিশ, আনসার, বিজিবিসহ অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা দায়িত্ব পালন করবে। এ ছাড়া রিজার্ভ ফোর্স হিসেবে প্রতি সিটিতে এক ব্যাটালিয়ন করে সেনা সদস্য ক্যান্টনমেন্টে প্রস্তুত থাকবেন।
তিন সিটির রিটার্নিং অফিসাররা জানিয়েছেন, নির্বাচনী আইন অনুযায়ী রোববার মধ্যরাতে সময়সীমা শেষ হওয়ার পর প্রচার চালালে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এইচএস/বিএ/আরআই
