সেনাবাহিনী নিয়ে গণমাধ্যম বিভ্রান্তিকর খবর দিচ্ছে : ইসি


প্রকাশিত: ০১:৫০ পিএম, ২৫ এপ্রিল ২০১৫

ঢাকা উত্তর ও ঢাকা দক্ষিণ এবং চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে সেনাবাহিনী মোতায়েন বিষয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যম বিভ্রান্তিকর খবর প্রচার করছে বলে দাবি করেছে নির্বাচিন কমিশন (ইসি)। শনিবার ইসির পরিচালক (জনসংযোগ) এস এম আসাদুজ্জামান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ দাবি করেছেন।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২০০১ এবং ২০০৮ সালে অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় সেনাবাহিনীকে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অন্তর্ভুক্ত করা হয়। ওই সময় ছাড়া আর কোন সময়ই সেনাবাহিনী অন্যান্য বাহিনীর সাথে কেন্দ্রে কেন্দ্রে বা রাস্তায় টহল দেয়নি। সেনাবাহিনী রিজার্ভ ফোর্স হিসেবে অবস্থান নেয় এবং রিটার্নিং কর্মকর্তারা ডাকলে স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে পরিস্থিতি মোকাবেলা করেছে।

জাতীয় সংসদ এবং উপজেলা নির্বাচন সারাদেশে অনুষ্ঠিত হওয়ায় তাদেরকে সুবিধামত বিভিন্ন স্থানে অস্থায়ী ক্যাম্প করে থাকতে হয়। তারা ক্যাম্পেই রিজার্ভ ফোর্স হিসেবে অবস্থান করে থাকে। ডাক পড়লে স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পদক্ষেপ গ্রহণ করে। আসন্ন সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন যেহেতু শুধুমাত্র ঢাকা ও চট্টগ্রাম মহানগরীর মধ্যে সীমাবদ্ধ এবং সেনানিবাস শহরের কেন্দ্রস্থলে, তাই সেখান হতে মিরপুর বা উত্তরার মত দক্ষিণে যাওয়াও সহজ। তাই সুবিধার জন্য ক্যান্টনমেন্টের ভিতরে অবস্থান করলেও কমিশন মোতায়েনকৃত এ বাহিনীর ইউনিটসমূহ সেনানিবাসের বাইরে বিভিন্ন স্টেডিয়াম কিংবা অন্যান্য অস্থায়ী ক্যাম্পের মত সম্পূর্ণ প্রস্তুত অবস্থায় থাকবে। এতে করে ডাক পরলে তাৎক্ষণিকভাবে তারা মুভ করতে পারে।

সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে সেনাবাহিনী অস্থায়ী ক্যাম্পেই থাকুক আর সেনানিবাসেই থাকুক তাদের মুভমেন্ট সময় একই থাকবে এবং তাতে করে কার্যকারিতাও সমান পর্যায়েই থাকবে। এছাড়া  ভোটগ্রহণের দিন বিভিন্ন যানবাহনের চলাচলের উপর নিষেধাজ্ঞা থাকবে, ফলে রাস্তায় যানজট থাকবে না। তাই খুব দ্রুতই সেনাবহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে পারবে।
 
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও উল্লেখ্য করা হয়, এবার সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখার জন্য প্রয়োজনের তুলনায় অনেক বেশি পুলিশ, র্যাব, আনসার-ভিডিপি, কোস্টগার্ড ও বিজিবি সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। এসব বাহিনীর মোবাইল টিম টহল দিবে এবং গুরুত্বপূর্ণ স্থানসমূহে স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে থাকবে। এছাড়া গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রগুলোতে অন্যান্য কেন্দ্রের চাইতেও অধিক সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হচ্ছে, যাতে করে যে কোন পরিস্থিতি তাৎক্ষণিকভাবে মোকাবেলা করতে সক্ষম হয়। উল্লিখিত অবস্থায় সকলের নিকট নির্বাচনে সেনাবাহিনী মোতায়েন বিষয়ে আর কোন বিভ্রান্তির অবকাশ থাকবে না।
 
প্রসঙ্গত, আসন্ন তিন সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে মোতায়েনের জন্য গত মঙ্গলবার স্বশস্র বিভাগকে তিন প্লাটুন সেনাবাহিনী চেয়ে চিঠি দেওয়ার একদিন পর আবার সেই চিঠি পরিবর্তন করে বুধবার আরেকটি চিঠি দেয় ইসি। প্রথম চিঠিতে রিজার্ভ ও স্টাইকিং ফোর্স হিসেবে সেনাবাহিনী চাওয়া হলেও পরে শুধু রিজার্ভ বাহিনী হিসেবে চাওয়া হয়। অর্থাৎ এখন সেনাবাহিনী তাদের নিবাসেই থাকবেন। রিটানিং কর্মকর্তারা ডাকলেও শুধু মাঠে নামবেন।

এদিকে বিএনপি অভিযোগ করছে, ক্ষমতাসীন দলের চাপে ইসি এ ধরনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

এইচএস/আরএস/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।