ঢাকায় গণশৌচাগার নির্মাণে জায়গার অভাব


প্রকাশিত: ০৯:২৬ পিএম, ০৯ এপ্রিল ২০১৭

ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনে (ডিএনসিসি) জায়গার অভাবে গণশৌচাগার নির্মাণ করা যাচ্ছে না বলে জানিয়েছেন মেয়র আনিসুল হক। রোববার চিড়িয়াখানা রোডের রাইনখোলা মোড় এবং চিড়িয়াখানার প্রধান গেটের পাশে নির্মিত দুটি আধুনিক গণশৌচাগার উদ্বোধন শেষে তিনি এ কথা বলেন।

মেয়র বলেন, ঢাকা শহরের জন্য এ ধরনের শত শত আধুনিক গণশৌচাগার নির্মাণ করা প্রয়োজন। এ জন্য প্রয়োজনীয় অর্থের সংস্থানও রয়েছে। তবে আমরা জায়গার অভাবে জনসাধারণের জন্য গণশৌচাগার নির্মাণ করতে পারছি না।

তিনি বলেন, এ ধরনের গণশৌচাগার পরিচালনা বেশ ব্যয়বহুল। ফলে প্রত্যেককেই অর্থের বিনিময়ে এগুলো ব্যবহার করতে হবে। কেউ যেন প্রভাব খাটিয়ে বিনামূল্যে ব্যবহারের চেষ্টা না করেন।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে ওয়ার্ল্ড টয়লেট অ্যাসোসিয়েশনের সেক্রেটারি জেনারেল ইয়ং চে’ কিম, ওয়াটারএইড বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর ড. মো. খাইরুল ইসলাম, স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. কাজী টিপু সুলতান বক্তব্য রাখেন।

ডিএনসিসি সূত্রে জানা গেছে, রাইনখোলা মোড়ে অবস্থিত গণশৌচাগার নির্মাণে অর্থায়ন করেছে দক্ষিণ কোরিয়া ভিত্তিক ওয়ার্ল্ড টয়লেট অ্যাসোসিয়েশন (ডব্লিউটিএ)। প্রতিষ্ঠানটি এ যাবত বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ২৪টি গণশৌচাগার নির্মাণ করেছে। বাংলাদেশে তাদের অর্থায়নে নির্মিত এটিই প্রথম গণশৌচাগার।

এছাড়া মিরপুর চিড়িয়াখানার গেটের পাশে অবস্থিত অপর গণশৌচাগারটি নির্মাণে অর্থায়ন করেছে ওয়াটারএইড বাংলাদেশ। এটি তাদের অর্থায়নে নির্মিত ১০ম গণশৌচাগার।

এদিকে এ দুটি নিয়ে ডিএনসিসি এলাকায় সর্বমোট ১১টি আধুনিক গণশৌচাগার চালু হলো। এছাড়া অল্প সময়ের মধ্যে ডিএনসিসির নিজস্ব অর্থায়নে ৩টি এবং ওয়াটারএইড বাংলাদেশের অর্থায়নে আরও ৩টি আধুনিক গণশৌচাগার নির্মাণ করা হবে বলেও জানানো হয়।

এমএসএস/আরএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।