দেশের স্বার্থ বিরোধী সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন কিছু আমলা : অর্থমন্ত্রী


প্রকাশিত: ০৬:২৭ পিএম, ০৯ এপ্রিল ২০১৭

কিছু কিছু আমলা দেশের স্বার্থের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন উল্লেখ করে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছেন, ওইসব আমলাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

রোববার রাজধানীর রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় অর্থ, পরিকল্পনা, সরকারি হিসাব ও সরকারি প্রতিষ্ঠান সংক্রান্ত স্থায়ী কমিটির সঙ্গে ২০১৭-১৮ অর্থবছরের প্রাক বাজেট আলোচনা শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।

অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘সিলেটে প্রায় ১০-১১টি ফ্যাক্টরি আছে, যেগুলোতে ভালো ভালো পণ্য উৎপাদান হয়। আজকে খবর পেলাম সেখানে ৫-৬টি প্ল্যান্ট বন্ধ করে রেখেছে। অন্যায় ভাবে। দেশের ক্ষতি হচ্ছে। কিন্তু সেটা মন্ত্রণালয় কোনো কারণ ছাড়াই বন্ধ করে রেখেছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘এ ধরনের বিভিন্ন জায়গায় দুর্ভাগ্যজনকভাবে আমাদের কিছু কিছু আমলারা উদ্ভট সিদ্ধান্ত নেন। যেটা দেশের স্বার্থের পক্ষে অত্যন্ত হার্মফুল (ক্ষতিকর)। আই টেক সাম অ্যাকশন। এটা করার তাদের কোনো অধিকার নেই। কিন্তু করে যাচ্ছে একটার পর একটা।’

আলোচনার বিষয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, আলোচনার সব থেকে বড় আইটেম হলো এমপিওভুক্ত। আর এক বছর বাকি আছে নির্বাচনের। সুতরাং এমপিওভুক্তির জন্য সর্বোচ্চ চাহিদা। কেউ কেউ বলেছেন, মিনিমাম (কমপক্ষে) তিনটি স্কুল এমপিওভুক্ত করতে হবে।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, মানবসম্পদ উন্নয়নে অগ্রাধিকার দেয়া হবে। বরাদ্দ বাড়বে। কিন্তু এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের জন্য বাড়তি কিছু থাকবে না। শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ সুবিধা আমরা বাড়াবো। এমপিওভুক্ত চলছে। আমি এমপিওভুক্তি হ্রাস করার পক্ষে না।

এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা বৈশাখী ভাতা পাবেন কিনা -সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে মুহিত বলেন, ‘এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা বৈশাখী ভাতা পাবেন না -এটা আমার জানা নেই। তাদের তো পাওয়ার কথা। পাবে না কেন? যারা সরকারি চাকরি করে তারা সকলেই পাই। সরকার যাদের বেতন দেয় তারা পাবে না কেন? তাদের পাওয়া উচিত।

অর্থমন্ত্রী বলেন, আলোচনায় ওঠে এসেছে যারা সর্বোচ্চ কর পরিশোধ করেন তারা সিআইপি হতে পারবেন না। সিআইপির যেসব নিয়ম-কানুন তাতে তাদের কোনো জায়গা নেই। আমি এখানে এ সিদ্ধান্ত নিলাম, যারাই ন্যাশনাল স্বীকৃতি পাবেন তারাই সিআইপি। বেসরকারি ব্যবসার যে ভালো পারফর্ম করবে সেই সিআইপি হবে।

তিনি আরও বলেন, হাসপাতালের ম্যানেজমেন্ট ডিসেন্টালাইজ করতে হবে। কারণ বিভিন্ন হাসপাতালে যে সরাঞ্জম থাকে। ওই সরাঞ্জম নাড়ানোর মতো ক্ষমতা তাদের নেই। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের রেডিও থেরাপি মেশিন দুই বছর ধরে বন্ধ। এটা কোনো কাজ করছে না।

মাদকের ব্যবহার বেড়ে গেছে উল্লেখ করে অর্থমন্ত্রী বলেন, এটার বিরুদ্ধে আমাদের শক্ত পদক্ষেপ নিতে হবে। অনেক যুবক মাদকে আশক্ত হয়ে যাচ্ছে। এছাড়া সবাই বলেছেন, উপজেলা পর্যায়ে পুলিশের যানবাহন বাড়ানো দরকার।

এমএএস/আরএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।