ফোর্ড ফাউন্ডেশনের ওপর ভারতের নিষেধাজ্ঞা
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দাতব্য প্রতিষ্ঠান ফোর্ড ফাউন্ডেশনের অর্থায়নের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে ভারত। এক আদেশে বলা হয়েছে, সরকারের অনুমতি ছাড়া স্থানীয় কোনো সংস্থাকে অর্থায়ন করতে পারবে না মার্কিন এই প্রতিষ্ঠান।
দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক আদেশে বলা হয়েছে, জাতীয় স্বার্থ ও নিরাপত্তার জন্য উদ্বেগজনক নয় এমন প্রকৃত কল্যাণমূলক কর্মকাণ্ডে ওই দাতব্য প্রতিষ্ঠানের সরবরাহকৃত অর্থ ব্যবহার হচ্ছে কি-না তা নিশ্চিত হতে ফোর্ড ফাউন্ডেশনের কার্যক্রমের ওপর নজরদারি করা হবে।
এর আগে আরেকটি এনজিও গ্রিনপিসের ওপর নজরদারির সিদ্ধান্ত নিয়েছিল ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং বলেন, তাদের নজরদারির তালিকায় এবার ঢুকে পড়েছে ফোর্ড ফাউন্ডেশনের নামও।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়, ফোর্ড ফাউন্ডেশনের কার্যক্রমের ওপর এবার নজর রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। ৪৬ নম্বর ধারার পররাষ্ট্র অবদান রেগুলেশন অ্যাক্ট ২০১০ অনুযায়ী এ এনজিও-এর অনুদান কোথা থেকে আসছে, সে বিষয়ে সব ধরনের তথ্য এবার থেকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে জানাবে রিজার্ভ ব্যাংক।
জাতীয় নিরাপত্তা বিঘ্নিত না করে ফোর্ড ফাউন্ডেশনের তহবিল যাতে সমাজের `প্রকৃত কল্যাণমূলক` কাজে ব্যবহৃত হয়, সে বিষয়ে নিশ্চিত হতে চায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
সম্প্রতি গুজরাট রাজ্য সরকার কেন্দ্রীয় মন্ত্রণালয়ের কাছে ফোর্ড ফাউন্ডেশনের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলে। গুজরাটের অভিযোগ, এই মার্কিন এনজিও ভারতের `অভ্যন্তরীণ বিষয়ে নাক গলাচ্ছে`। স্থানীয় এনজিও সাবরং-কে অর্থ সাহায্য করে এ দেশের `সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্টের` চেষ্টা করছে।
অভিযোগ উঠেছে, এনজিও-টি নিজেদের বার্ষিক ব্যালান্স শিটের আবশ্যিক রিপোর্ট কেন্দ্রের কাছে জমা দেয়নি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দীর্ঘদিনের সমালোচক তিস্তা সিতলভাড় এই এনজিওটি চালায়।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায় বলা হয়েছে, ফোর্ড ফাউন্ডেশনের কাছ থেকে কোনো সরকারি সংগঠনের আর্থিক সাহায্য নিতে গেলে অর্থ দফতরের ছাড়পত্র লাগবে।
বিএ/পিআর