আর্মেনিয়ায় নিহতদের স্মরণে নীরবতা পালন


প্রকাশিত: ১১:৫৬ এএম, ২৪ এপ্রিল ২০১৫

প্রথম বিশ্বযুদ্ধ চালাকালে ১৯১৫ থেকে ১৯১৭ সালের মধ্যে অটোম্যান তুর্কিদের হাতে নিহত প্রায় ১৫ লাখ আর্মেনীয়কে স্মরণ করে কয়েক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়েছে। এতে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ফ্রাঁসোয়া ওলাঁদ ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনসহ বিশ্ব নেতারা অংশ নেন।

শুক্রবার দেশটির রাজধানীতে ইয়েরেভানে অটোম্যান তুর্কীদের গণহত্যার শতবর্ষ উপলক্ষে এ নীরবতা পালন করা হয়। দেশটির প্রেসিডেন্ট সার্জ সারকিসিয়ান ও অন্যান্য নেতৃবৃন্দসহ হাজার হাজার লোক শোভাযাত্রা সহকারে ইয়েরেভানের উপকণ্ঠে একাটি পাহাড়ের চূড়ায় স্থাপিত একটি স্মৃতিস্তম্ভে যান। তারা ফুল দিয়ে নিহতদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

এদিকে ওই হত্যাকাণ্ডকে ‘গণহত্যা’ বলে উল্লেখ করায় এর তীব্র বিরোধিতা করেছে তুরস্ক। আর এ নিয়ে তুরস্ক ও আর্মেনিয়ার মধ্যে তিক্ত সম্পর্কের সৃষ্টি হয়েছে। তুরস্কের দাবি, প্রথম বিশ্বযুদ্ধে উভয় পক্ষের বহু লোক নিহত হয়েছে।

শুক্রবার তুরস্কেও এক স্মরণসভা হয়। দেশটির প্রধানমন্ত্রী আহমেত দাভুতোগলু বলেছেন, তার দেশ আর্মেনীয়দের ‘কষ্ট ভাগ’ করে নেবে। তবে ওই হত্যাকাণ্ড গণহত্যা নয় এমন দাবির পক্ষে তার দৃঢ় অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করেন।

বৃহস্পতিবার আর্মেনীয় গির্জা জানায়, প্রথম বিশ্বযুদ্ধে ১৫ লাখ আর্মেনীয় নিহত হন। স্মরণানুষ্ঠানের পর সারাবিশ্বে আর্মেনীয় গির্জায় একযোগে ঘণ্টা বাজানো হয়। জার্মান প্রেসিডেন্ট জোয়াচিম গাউকও এ হত্যাকাণ্ডকে গণহত্যা বলেছেন।

চলতি মাসের শুরুতে পোপ ফ্রান্সিস গণহত্যা শব্দটি ব্যবহার এবং সেন্ট পিটার্স ব্যাসিলিকায় এক প্রার্থনা সভায় ওই হত্যাকাণ্ডের কথা উল্লেখ করার পর ভ্যাটিকানে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূতকে ডেকে পাঠায় তুরস্ক।

ফ্রান্স ওই হত্যাকাণ্ডকে গণহত্যা বলে স্বীকৃতি দেয়ার পক্ষে কাজ করছে। আর দেশটির প্রেসিডেন্ট ফ্রাঁসোয়া ওলাঁদ গণহত্যা অস্বীকারকারীদের শাস্তি দিতে আইন করার জন্য চাপ দিচ্ছেন। এই বিষয় ফ্রান্স-তুরস্ক সম্পর্কে প্রভাব ফেলছে।

বিএ/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।