সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদে লাভবান হচ্ছে কারা প্রশ্ন প্রধানমন্ত্রীর


প্রকাশিত: ০৩:৪৬ পিএম, ০৬ এপ্রিল ২০১৭

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদে লাভবান হচ্ছে কারা? যারা অস্ত্র-শস্ত্র তৈরি করে বিক্রি করে তারা! সন্ত্রাসের মাধ্যমে মুসলমান মুসলমানকে হত্যা করছে। মুসলমানদের রক্তের বিনিময়ে অন্যরা লাভবান হচ্ছে-এটা কী ধরনের কথা?

বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ওলামা মহাসমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, যারা জঙ্গিবাদে বিশ্বাস করে তাদের কোনো ধর্ম সিই, দেশ নেই, সীমানা নেই। জঙ্গিবাদই তাদের ধর্ম। তারা ভুল পথে যাচ্ছে এটা আমাদের পবিত্র ইসলামের কথা।

‘এটা বড় দুঃখের কথা, যারা ইসলামকে হেয়প্রতিপন্ন করছে তাদের সুযোগ করে দেয়া হয়। ইসলাম ধর্মের বিপক্ষে এভাবে পথে নামা, এখানেই সবচেয়ে দুর্ভাগ্য। আমি আহ্বান জানাব ইসলাম যে প্রকৃত ধর্ম, শান্তির ধর্ম, এমন শিক্ষা দেয়া প্রয়োজন যাতে কেউ ভুল পথে না যেতে পারে,’ আলেম-ওলামাদের উদ্দেশ্যে বলেন প্রধানমন্ত্রী।

শেখ হাসিনা বলেন, আমি আন্তর্জাতিক অনুষ্ঠানে যেখানেই যাই না কেন, যখন কেউ ইসলাম ধর্মের সঙ্গে জঙ্গিবাদ শব্দ ব্যবহার করে আমি সঙ্গে সঙ্গে প্রতিবাদ করি। আমি তাদের স্পষ্টভাবে বলে দেই কয়েকটা মানুষের জন্য ধর্মপ্রাণ মানুষকে এভাবে হেয় করা যাবে না। একটা মহল থেকে পবিত্র ধর্মকে কলুষিত করার চক্রান্ত চলছে। এদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে।

তিনি আরও বলেন, সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ শুধু দেশের সমস্যা নয়। এটা বিশ্বের সমস্য। আমি সৌদি বাদশাহকে ধন্যবাদ জানাই তিনি জঙ্গিবাদের বিপক্ষে যে উদ্যোগ নিয়েছেন তা পুরো বিশ্বের জন্য ভালো।

বাংলাদেশ জঙ্গি ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে সৌদি আরবের বাদশাহের উদ্যোগের পাশে রয়েছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলে ইসলাম থাকবে না- পঁচাত্তর পরবর্তী সময়ে এ ধরনের অপপ্রচার চালিয়েছিল তৎকালীন ক্ষমতাসীনরা। বঙ্গবন্ধু মদ, জুয়া ও রেইস বন্ধ করে দিয়েছিলেন। কিন্তু ৭৫ পরে তারা ক্ষমতায় এসে মদের লাইসেন্স দিয়েছে। ওই সময় সৌদির সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখে বাংলাদেশি মুসলমানদের হজে যাওয়ার পারমিশন নিয়েছিলেন। এজন্যে ‘হিজবুল বাহার’ নামে একটি জাহাজও কিনেছিলেন তিনি। তখন অল্প খরচে হজে পাঠানো হত।

‘কিন্তু পঁচাত্তরে জাতির পিতাকে হত্যা করে যারা ক্ষমতায় এসেছিল তারা জাহাজটিকে প্রমোদ তরী হিসেবে ব্যবহার করে। তারা মুখে ইসলামের কথা বললেও কাজ করে ইসলামবিরোধী। তারাই জঙ্গি ও সন্ত্রাসবাদের উত্থান করে।

ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ৪২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আলেম-ওলামাদের নিয়ে এ মহাসমাবেশের আয়োজন করা হয়।

ধর্মমন্ত্রী অধ্যক্ষ মতিউর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন-সৌদি আরবের পবিত্র মসজিদুল হারাম ও মসজিদুন নববীর ভাইস প্রেসিডেন্ট শায়খ মুহাম্মদ বিন নাসের আল খুজাইম ও মদিনার মসজিদে নববীর খতিব ড. আবদুল মহসিন বিন কাসেম।

মহাসমাবেশের শুরুতে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক সামীম মো. আফজাল স্বাগত বক্তব্য দেন।

এফএইচএস/এমএমএ/এএইচ/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।