অতিথিরা জানেন না ‘মসজিদ কোথায়’


প্রকাশিত: ০৯:০৬ এএম, ০৬ এপ্রিল ২০১৭

রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অনুষ্ঠিত ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ওলামা-মাশায়েখ সম্মেলনে আসা অতিথিরা নামাজ ও ইস্তেঞ্জা নিয়ে বিপাকে পড়েছেন।

অনেকেই নির্দিষ্ট কোনো স্থান না পেয়ে নিজেদের মতো করে উদ্যানের বিভিন্ন স্থানে নামাজ আদায় করেছেন। একই অবস্থা সমাবেশের বাইরে থাকা অতিথিদেরও। তারাও জানেন না কোথায় কিসের ব্যবস্থা রয়েছে। দুপুরের দিকে অনেকেই একে অপরকে জিজ্ঞাসা করেন, ‘ভাই মসজিদ কোথায়?’

এছাড়া সম্মেলনে আসা অনেককে টয়লেটের খোঁজ করতে দেখা গেছে। টয়লেটের জন্য নির্দিষ্ট কোনো স্থান রয়েছে কিনা- সে বিষয়েও কিছুই জানেন না তারা।

বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টা থেকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের পাঁচটি প্রবেশপথের মধ্যে চারটি দিয়ে আগত লক্ষাধিক অতিথি সমাবেশস্থলে প্রবেশ করেন। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কঠোর তল্লাশির মধ্য দিয়ে বেলা ২টার পরও তাদের প্রবেশ করতে দেখা যায়।

এদিকে বেলা ১টা পর্যন্ত উদ্যানের বাইরে অধিকাংশ অতিথিকে অবস্থান করতে দেখা গেছে। মোবাইল ফোনসহ বিভিন্ন কারণে তারা উদ্যানের ভেতরে প্রবেশ করেননি। অনেকে আবার ভেতরে নামাজ ও খাবারের ব্যবস্থা নেই- এ আশঙ্কায় প্রবেশ করছেন না। একবার ঢুকলে আর সহজে বের হওয়া যাবে না- এমন চিন্তাও রয়েছে অনেকের মধ্যে।

Alem

টয়লেটের বিষয়ে সিটি কর্পোরেশনের অতিরিক্ত প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা খন্দোকার মিল্লাতুল ইসলাম জাগো নিউজকে জানান, ওলামা-মাশায়েখ সম্মেলনের জন্য তাদের পক্ষ থেকে বড় দুটি ভ্রাম্যমাণ টয়লেটের (একটিতে পাঁচটি করে মোট ১০টি) ব্যবস্থা করা হয়েছে। এছাড়া আরও ১১টি ভ্রাম্যমাণ টয়লেট ভাড়া করা হয়েছে। এগুলো সোহরাওয়ার্দী উদ্যোনের ভেতরে রয়েছে। বাইরে টয়লেটের কোনো ব্যবস্থা নেই।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদেও মুসল্লিদের ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। সেখানে নামাজের স্থান সংকুলান হচ্ছে না। ঢাবির মসজিদের অজুখানায় ব্যাপক ভিড় থাকায় অনেক মুসল্লি পানি কিনে রাস্তায় অজু করে ফুটপাতেই নামাজ আদায়ে দাঁড়িয়ে যান।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে আসা ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সদস্য হাফেজ মাওলানা আরাফাতুর রহিম জাগো নিউজকে বলেন, ‘মোবাইল ফোন এনেছি। তাই ভেতরে প্রবেশ করতে পারিনি। বাইরে পানির কোনো ব্যবস্থা নেই। মসজিদ কোথায় আছে জানি না। এখন বোতলের পানি কিনে অজু করে এখানে (ফুটপাতে) দাঁড়িয়ে নামাজ আদায় করে নিয়েছি।’

পাশে দাঁড়িয়ে থাকা অপর এক অতিথি বলেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি মসজিদ আছে। সেখানে অনেক ভিড়। মানুষ লাইনে দাঁড়িয়ে অজু করতে পারছে না। অনেকেই জানেন না মসজিদ কোথায় আছে। ভেতরে কোনো ব্যবস্থা আছে কিনা তাও বলতে পারছেন না কেউ।’

এমএসএস/এসআর/এমএআর/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।