২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার বিচার দেরি হওয়ায় আইপিউর উদ্বেগ


প্রকাশিত: ১০:৩৯ এএম, ০৫ এপ্রিল ২০১৭

বিরোধীদলীয় নেতা থাকা অবস্থায় বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ওপর একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার রায় দেরি হওয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন ইন্টার পার্লামেন্টারি ইউনিয়ন (আউপিইউ)। সংসদ সদস্যদের বৃহৎ এই ফোরামের ‘কমিটি অন দ্য হিউম্যান রাইটস অব পার্লামেন্টারিয়ান’ এ সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন গভর্নিং কাউন্সিল গ্রহণ করেছে।

ঢাকার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত ফোরামটির পাঁচদিনব্যাপী সম্মলনে এ উদ্বেগ জানানো হয়।

ওই কমিটিতে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের এমপিদের মানবাধিকার লঙ্ঘন নিয়ে আলোচনা হয়। একই সঙ্গে কমিটি সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এ এমএস কিবরিয়া হত্যা মামলা সুষ্ঠুভাবে নিষ্পত্তির হবে বলে প্রত্যাশা করছে।

কমিটিতে গৃহীত প্রস্তাবে বলা হয়েছে, ঘটনার পর ১২ বছর পেরিয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত মূল পরিকল্পনাকারী আদালতে দোষী সাব্যস্ত হয়নি। তবে কমিটি আশা করছে, একুশে আগস্ট শেখ হাসিনার সমাবেশে গ্রেনেড হামলা সংক্রান্ত মামলা সুষ্ঠুভাবে নিষ্পত্তি হবে।

বুধবার কমিটির সভাপতি আফগানিস্তানের নারী এমপি ফৌজিয়া কুফি সংবাদ সম্মেলনে বলেন, কমিটিতে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে এ দুটি বিষয়ে জানানো হয়েছে। এ দুটো বিষয়ই বিচারাধীন। মামলা দুটির ‘ফ্রি অ্যান্ড ফেয়ার ট্রায়াল’ হবে। কমিটি সাবেক অর্থমন্ত্রীর পরিবার এবং অভিযুক্তদের মামলাটির বিষয়ে সময়ে সময়ে যথাযথভাবে অবহিত করতে বলেছে।

এসময় আইপিইউ সেক্রেটারি জেনারেল মার্টিন চুংগং জানান, বিভিন্ন দেশ থেকে বা কোনো ব্যক্তির কাছ থেকে অভিযোগের ভিত্তিতে কমিটি বিষয় ‘কেস’ নিয়ে আলোচনা করে। কোনো দেশে কোনো আইনপ্রণেতার মানবাধিকার লঙ্ঘন হলে সংশ্লিষ্ট দেশের সঙ্গে যোগাযোগ করে ওই এমপির মানবাধিকার রক্ষার বিষয়ে তারা কথা বলেন।

তিনি বলেন, কোনো এমপি যদি অপরাধের কারণে আইনের মুখোমুখি হয়, তখন আইপিইউ সেটাকে মানবাধিকার লঙ্ঘন হিসেবে ধরে না।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, গত এক বছরে এমপিদের মানবাধিকার লঙ্ঘন বিষয়ে ৪৫৯টি ঘটনা কমিটির কাছে উপস্থাপিত হয়েছে। এরমধ্যে ঢাকায় সম্মেলন চলাকালীন ১৪৭টি ঘটনা নিয়ে আলোচনা করেছে।

এছাড়া মালয়েশিয়ার বিরোধীদলীয় নেতা আনেয়ার ইব্রাহিমের মুক্তি দাবি করেছে মানবাধিকার সুরক্ষার নিয়ে কাজ করা এই কমিটি।

আইনপ্রণেতাদের মানবাধিকার লঙ্ঘন নিয়ে কাজ করা এই কমিটির গৃহীত প্রস্তাবে বলা হয়েছে, বিলম্বিত বিচার বিচারহীনতার সামিল। কোনো প্রকার রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ ছাড়া এই ঘৃণ্যতম অপরাধের বিচার দ্রুত  এবং জাতীয়-আন্তর্জাতিক মানের হওয়া উচিত। বাংলাদেশের জাতীয় সংসদ এ বিষয়টি পর্যবেক্ষণে রাখবে বলে আশা প্রকাশ করা হয়েছে। পরবর্তীতেও আইপিইউ’র এই কমিটি মামলাটির অগ্রগতি নিয়ে আলোচনা করবে।

আইপিইউ সদর দফতরের মুখপাত্র জ্যাঁ মিলিগান জাগো নিউজকে বলেন, হিউম্যান রাইটস কমিটির প্রস্তাবনা সংক্রান্ত প্রতিবেদন গভর্নিং কাউন্সিলে ‘এডাপ্ট’ করা হয়েছ।

কমিটির এবারের সেশনের গৃহীত রেজ্যুলেশনে বলা হয়, এই মামলায় অভিযুক্তদের মধ্যে ১৮ জন বিদেশে পালিয়ে আছে। ‘পালিয়ে’ থাকাদের মধ্যে বিএনপির জ্যেষ্ঠ ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে লন্ডন থেকে বাংলাদেশে ফিরিয়ে আনার বিষয়ে যুক্তরাজ্য সরকারের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে।

এইচএস/জেএইচ/এএইচ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।