ভারতীয় হাতির তাণ্ডবে কুড়িগ্রাম-জামালপুর সীমান্তবাসী অতিষ্ট


প্রকাশিত: ০৯:৩২ এএম, ২৩ এপ্রিল ২০১৫

কুড়িগ্রাম ও জামালপুর সীমান্তে ভারতীয় বন্য হাতির তাণ্ডবে দিশেহারা এলাকার মানুষ। ঘর-বাড়ি থেকে শুরু করে আবাদি ফসল, সঞ্চিত জিনিসপত্র কিছুই বাদ যাচ্ছে না হাতির কবল থেকে। বিগত ৩ মাসে প্রায় অর্ধকোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে জানান ক্ষতিগ্রস্তরা।

জানা যায়, কুড়িগ্রামের রাজিবপুর ও জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার বাংলাদেশ ও ভারতের আন্তর্জাতিক পিলার (১০৭৩-১০৭৫) জুড়ে প্রায় পনেরো কিলোমিটার এলাকাব্যাপী বন্য হাতির তাণ্ডব দিনদিন বেড়েই চলেছে। সন্ধ্যা নামলেই সীমান্ত জুড়ে শুরু হয় হাতি আতঙ্ক। চলে ভোর পর্যন্ত। আর এজন্য বয়স্কদের কাটাতে হয় নির্ঘুম রাত। আর শিশুরা শব্দ হলেই আতঙ্কে চিৎকার করে ওঠে।

সীমান্তবাসী মহর আলী মুন্সি ও নজরুল ইসলাম জাগো নিউজকে জানান, রাজিবপুরের বাউল পাড়া, দেওয়ান গঞ্জের মাখনের চর, পাথরের চর ও কুমারের চর এলাকায় সম্প্রতি বন্য হাতির দল প্রবেশ করে প্রায় ২৫ থেকে ৩০ বিঘা ইরি- বোরো ধানের ব্যাপক ক্ষতি সাধন করে। এসময় সীমান্তের মেরাজ আলী, ফজর আলী, আক্কাস, খোরশেদ, কডু মিয়া, তৈয়ব উদ্দিন, আব্দুস সালাম, গোলাম হোসেন, মোতালেব ও আব্দুল হাই এর ঘর-বাড়ি ভাঙচুরসহ গবাদিপশু, হাঁস-মুরগি, চাল-ডাল ও ঘরের আসবাবপত্র তছনছ করে।

এছাড়া গত দুই মাসে ৫৫ বিঘা জমির ফসল, ৫০টি হাঁস-মুরগি হত্যা, ৫টি শ্যালো মেশিনসহ অসংখ্য গাছপালা ভাঙচুর করে হাতির দল। প্রশাসন থেকে ক্ষতিগ্রস্তদের পুর্নবাসনের কথা জানালেও পরে কোনো সহায়তা দেয়া হয়নি।

সীমান্তবাসীরা আরও জানায়, আর্ন্তজাতিক পিলার ১০৭৪ ও ১০৭৫ এর মাঝে কাঁটা তারের বেড়া না থাকায় বন্য হাতির দল সহজেই বাংলাদেশের অভ্যন্তরে প্রবেশ করছে। এখানে বাংলাদেশ ও ভারতের অধিবাসীরা সীমান্ত ঘেঁষে বাসা-বাড়ি করায় নোম্যান্সল্যান্ড এর কাঙ্খিত ১৫০ গজ দূরত্ব নেই। ফলে ভারতীয়দের পক্ষ থেকে এখানে কোনো কাঁটা তারের বেড়া নির্মাণ করা হয়নি। ফলে এই ফাঁক-ফোকর দিয়েই হাতির দল বার বার বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ঢুকে পড়ছে। সেই সাথে সর্বস্বান্ত করছে এখানকার কৃষিজীবীদের।

এ ব্যাপারে এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে সরকারের উচ্চ মহলের কাছে জোড় নিরাপত্তা দাবি করা হয়েছে।

এসএস/এমএএস/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।