রিপোর্টার্স ইউনিটিতে নির্বাচনী হাওয়া


প্রকাশিত: ১১:০১ এএম, ২৫ আগস্ট ২০১৪

ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) আসন্ন নির্বাচন ঘিরে সরগরম হয়ে উঠেছে ইউনিটির বাগান। নির্বাচনে বিভিন্ন পদে অংশগ্রহণকারী একাধিক প্রার্থীর নাম শোনা যাচ্ছে। নিয়মিত চলছে তাদের মৌখিক প্রচারণা। আর এ প্রচারণার অন্যতম স্থান হচ্ছে ডিআরইউ প্রাঙ্গণ।

জানা গেছে, সভাপতি পদে এবার প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন দৈনিক ইনকিলাবের প্রধান প্রতিবেদক সাখাওয়াত হোসেন বাদশা, দৈনিক ইত্তেফাকের জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জামাল উদ্দীন, ৭১ টিভির অ্যাসাইনমেন্ট এডিটর মনির হোসেন লিটন ও দৈনিক সকালের খবরের জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক আজমল হক হেলাল।

সভাপতি পদপ্রার্থী মনির হোসেন লিটন বলেন, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির এবারের নির্বাচনে সভাপতি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য মনস্থির করেছি।

তিনি বলেন, এই সংগঠনে ২০০৩ সালে সাধারণ সম্পাদক পদে দায়িত্ব পালন করেছি। অনেক পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু অনেক কিছুই বাস্তবায়ন করতে পারিনি। পরবর্তী সময়ে যারা এ পদে এসেছিলেন, তাদের কাছেও আমার পরিকল্পনাগুলো শেয়ার করেছি। কিন্তু তাদের অনেকে তা বাস্তবায়ন করতে পারেনি।

মনির হোসেন লিটন বলেন, এবার নির্বাচনে জয়ী হলে ওই পরিকল্পনাগুলো বাস্তবায়নের চেষ্টা করবো। আর তা অবশ্যই সাংবাদিকদের উন্নয়নে হবে।

সভাপতি পদপ্রার্থী সাংবাদিক আজমল হক হেলাল বলেন, নেতা না হয়েও সাংবাদিকদের স্বার্থ সংরক্ষণে কাজ করা যায়। তবুও একটা প্লাটফর্ম লাগে।

তিনি বলেন, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির নির্বাচনের দিন অত্যন্ত আনন্দময়। ঠিক ঈদের দিনের মতো এক মিলনমেলায় পরিণত হয়। ওই নির্বাচনের মধ্য দিয়ে এক বছরের জন্য নির্বাচিত হয় একটি কার্যনির্বাহী কমিটি। যারা পেশাগত দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি সাংবাদিকদের অধিকার আদায়ে কাজ করে থাকেন।

আজমল হক হেলাল বলেন, সংগঠন ও সাংবাদিকদের স্বার্থ সংরক্ষণ, পেশার মান ও মর্যাদা বৃদ্ধিতে আমি কাজ করবো। একই সঙ্গে বহুদিন ধরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির জমি সংক্রান্ত ঝামেলা চলছে। আমি সভাপতি পদে নির্বাচিত হলে এ সমস্যা সমাধানে তৎপর হবো। অনেক দিন হয়ে গেল, সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনী হত্যার বিচার হয়নি। এ বিষয়ে আমাদের আন্দোলন আরও জোরদার হবে।

তিনি বলেন, আমি দুবার সহসভাপতি পদে দায়িত্ব পালন করেছি। এ ছাড়া ১৯৯৯ সালে কল্যাণ তহবিল গঠন করে দিয়েছিলাম। যা আজও সাংবাদিকদের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছে। এবারও সভাপতি পদে নির্বাচিত হলে সাংবাদিকদের কল্যাণে কাজ করার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করছি।

অপর সভাপতি প্রার্থী জামাল উদ্দীন বলেন, পেশাগত মানোন্নয়নে আমাদের অনেক কিছু করার আছে। এ ছাড়া ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির স্থায়ী ভবন নির্মাণ নিয়ে অনেক জটিলতা রয়েছে। এই জটিলতা কাটানোর জন্য আমাদের চেষ্টা অব্যাহত থাকবে।

তিনি বলেন, সাধারণ সম্পাদক পদে থাকা অবস্থায় সাধারণ সদস্যদের কল্যাণে আমরা বেশকিছু উদ্যোগ নিয়েছিলাম। এবারও নির্ধারিত কল্যাণ তহবিলের আকার আরও বাড়ানোর চেষ্টা করবো।

এবারের নির্বাচনে সাধারণ সম্পাদক পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন দৈনিক যুগান্তরের জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক সফিউল আলম রাজা, ইন্ডিপেন্ডেন্ট টিভির জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক ইলিয়াস হোসেন, বিবিসি বাংলার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক রাকিব হাসনাত সুমন ও দেশ টিভির অ্যাসাইনমেন্ট এডিটর নজরুল কবীর।

দৈনিক যুগান্তরের জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক সফিউল আলম রাজা বলেন, সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচন করার মনস্থির করেছি। জয়ী হলে নিজস্ব কিছু পরিকল্পনা আছে। তা সকলকে সঙ্গে নিয়ে বাস্তবায়নের চেষ্টা করবো।

সাংবাদিক রাকিব হাসনাত সুমন বলেন, সাংবাদিকদের অধিকার আদায়, মানোন্নয়ন ও সংগঠনের উন্নয়নে এবার সেক্রেটারি পদে নির্বাচন করবো।

যুগ্ম সম্পাদক পদে শুধুমাত্র সালাম ফারুকের নাম শোনা যাচ্ছে। তিনি বলেন, সাংবাদিকদের সেবা ও সংগঠনের উন্নয়নে যুগ্ম সম্পাদক পদে নির্বাচন করবো।

সাংগঠনিক সম্পাদক পদে দৈনিক আলোকিত বাংলাদেশের জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক রিয়াজ উদ্দীন ও দৈনিক নয়া দিগন্তের নিজস্ব প্রতিবেদক জিলানী মিল্টনের নাম শোনা যাচ্ছে।

এবারও সংস্কৃতির উন্নয়ন ও সংস্কৃতি বিষয়ক সাংবাদিকদের কল্যাণে নির্বাচন করবেন দৈনিক কালের কণ্ঠের জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক আজিজুল পারভেজ।

প্রসঙ্গত, ৩০ নভেম্বর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।