মসজিদ মন্দিরের জমিও অধিগ্রহণ করা যাবে


প্রকাশিত: ০৮:৪৩ এএম, ০৩ এপ্রিল ২০১৭

এখন থেকে মসজিদ, মন্দির, প্যাগোডা ও শ্মশানের জায়গা অধিগ্রহণ করা যাবে। জনস্বার্থে প্রয়োজন হলে মসজিদ, মন্দির, প্যাগোডা ও শ্মশানের জায়গা স্থানান্তর বা পুনস্থাপন সাপেক্ষে তা অধিগ্রহণ করা যাবে।

স্থাবর সম্পত্তি ও হুকুম দখল আইন-২০১৭ এর খসড়ায় চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়ে এ বিষয়টিতে সায় দিয়েছে মন্ত্রিসভা।

মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান।

সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে সচিবালয়ের কেবিনেট কক্ষে অনুষ্ঠিত সভায় মন্ত্রিপরিষদের সদস্য ছাড়াও সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

শফিউল আলম বলেন, স্থাবর সম্পত্তি অধিগ্রহণ ও হুকুম দখল আইনে কিছু পরিবর্তন আনা হয়েছে। এতদিন ১৯৮২ সালের অর্ডিন্যান্স অনুযায়ী জমি অধিগ্রহণ করা হতো।

তিনি বলেন, এখন থেকে সরকার কোনো ভূমি অধিগ্রহণ করলে বর্তমান বাজার মূল্যের তিন গুণ মূল্য পরিশোধ করতে হবে। এ ছাড়া বেসরকারি কোনো সংগঠন বা সংস্থা যদি ভূমি অধিগ্রহণ করে তাহলে ভূমির মালিককে বাজার মূল্যের চার গুণ পরিশোধ করতে হবে।

তিনি বলেন, ক্ষতিপূরণের টাকা যেমন বাড়িয়েছে, তেমনি ক্ষতিপূরণের টাকা পরিশোধের সময় সীমাও বাড়ানো হয়েছে। ১৯৮২ সালের অর্ডিন্যান্স অনুযায়ী ক্ষতিপূরণের সময় সীমা ছিল ৬০ দিন। এটা বাড়িয়ে এখন করা হয়েছে ১২০ দিন।

এছাড়াও জাতীয় চলচ্চিত্র নীতিমালা ২০১৭ এর খসড়ায় অনুমোদন দেয়া হয়েছে আজকের বৈঠকে।

এফএইচএস/এনএফ/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।