১০০ মিলিয়ন মানুষের কল্যাণে কাজ করতে চাই : কৈলাশ সত্যার্থী
নোবেল জয়ী কৈলাশ সত্যার্থী বলেছেন, এখনও বিশ্বব্যাপী ১০০ মিলিয়নের বেশি শিক্ষার্থী স্কুলের বাইরে রয়েছে। তাদের কল্যাণেও এগিয়ে যেতে হবে। তাদের কল্যাণে কাজ করতে চাই।
রোববার গণসাক্ষরতা অভিযান আয়োজিত রাজধানীর সেন্ট যোসেফ উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে আয়োজিত ক্যাম্পেইনে তিনি এ কথা বলেন।
‘১০ কোটি শিক্ষাবঞ্চিত মানুষের জন্য আমরা ১০ কোটি, আমাদের ভবিষ্যৎে আমরাই গড়বো’ স্লোগানে এ ক্যাম্পেইন শুরু হয়। সেখানে কৈলাশ সত্যার্থী শিক্ষার্থীদের শপথ পাঠ করান।
তিনি বলেন, বিশ্বে বাংলাদেশ কারও চেয়ে পিছিয়ে নেই। বাংলাদেশ আমার ‘সেকেন্ড হোম’। এ ক্যাম্পেইন প্রথমে ভারতে শুরু হয়। আর দ্বিতীয় দেশ হিসেবে এবার বাংলাদেশে শুরু হলো। কিছু শিশু সুবিধাবঞ্চিত আর কিছু সুবিধাপ্রাপ্ত। আমরা এসব বৈষম্য কাম্য করি না। সবার মৌলিক অধিকার আদায়ে এ ক্যাম্পেইন কাজ করে যাবে।
কৈলাশ সত্যার্থী বলেন, বিশ্বে ২৫ বছরের কম বয়সী মানুষ বা যুব সম্প্রদায়ের সংখ্যা এখন প্রায় ৩০০ কোটি। যাদের একটি বড় অংশ সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্ত। এমনও আছে যারা মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত। ১০০ মিলিয়নের বেশি শিশু ঝুঁকিপূর্ণ শ্রমের সঙ্গে জড়িত। যার মধ্যে ৫ মিলিয়ন শ্রমদাস হিসেবে কাজ করতে বাধ্য হচ্ছে।
অনুষ্ঠানে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, দেশের শতভাগ শিশু এখন স্কুলে ভর্তি হচ্ছে। এখন লক্ষ্য মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করা।
পানিসম্পদ মন্ত্রী ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ বলেন, যারা বঞ্চিত তাদের বাঁচাতে হবে। সবাই মিলে শিশুশ্রম নিরসন করতে হবে।
অনুষ্ঠানে শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, ২০০১ সালে দেশে ৩৪ লাখ শিশু শ্রমিক ছিলো। ২০১৩ সালে তা ১৭ লাখে নেমে এসেছে। তবে ২০২১ সালের মধ্যে ঝু্ঁকিপূর্ণ শিশুশ্রম ও ২০২৫ সালের মধ্যে সব ধরনের শিশুশ্রম বন্ধ করতে চাই।
গণসাক্ষরতা অভিযানের নির্বাহী পরিচালক রাশেদা কে চৌধুরীর সভাপত্বিতে অনুষ্ঠানে সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা হোসেন জিল্লুর রহমান, শিক্ষাবিদ কাজী খলীকুজ্জমান, ভাস্কর ফেরদৌসী প্রিয়ভাষিণী, লেখক ও সাংবাদিক আনিসুল হক প্রমুখ বক্তব্য দেন।
এমএইচএম/এমএমএ/এএইচ/জেআইএম