হজ নিবন্ধনের সময়সীমা ১০ এপ্রিল পর্যন্ত বৃদ্ধি
চলতি বছর হজ গমনেচ্ছুদের নিবন্ধনের সময়সীমা আগামী ১০ এপ্রিল পর্যন্ত বৃদ্ধি করেছে ধর্ম মন্ত্রণালয়। এই সময়ের মধ্যে সরকারি ও বেসরকারি উভয় ব্যবস্থাপনার হজ গমনেচ্ছুদের নিবন্ধন সম্পন্ন করে নিবন্ধন সনদ গ্রহণ করতে বলা হয়েছে। বুধবার মন্ত্রণালয়ের (হজ-১) শাখার সিনিয়র সহকারী সচিব মো. আবুল হোসেন স্বাক্ষরিত এক জরুরি প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানা হয়।
পূর্ব ঘোষণা অনুসারে, গত ২৮ মার্চ থেকে ৩০ মার্চ পর্যন্ত সময়সীমা বেঁধে দেয়া হয়েছিল। কিন্তু হজ এজেন্সিস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (হাব) নেতারা প্রাক নিবন্ধনে অনিয়মের অভিযোগ তুলে নিবন্ধন কার্যক্রম বর্জন করে।
হাবের মহাসচিব শেখ মো. আবদুল্লাহ মঙ্গলবার দুপুরে জাগো নিউজকে বলেছিলেন, ১০৯৭টি এজেন্সির কেউ নিবন্ধন কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করবে না। কিন্তু ধর্ম মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে ২৮ ও ২৯ মার্চ দুইদিনে বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ২০৬টি এজেন্সির ৮ হাজার ৪শ’ ৬৬ জন ও সরকারি ব্যবস্থাপনায় দুই হাজার ৫শ’ ৩০ জন নিবন্ধন করেছেন বলে উল্লেখ করা হয়।
উল্লেখ্য, চলতি বছর সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় মোট প্রায় এক লাখ ২৮ হাজার নারী, পুরুষ ও শিশুর পবিত্র হজে যাওয়ার জন্য কোটা নির্ধারিত রয়েছে।
বুধবার জারিকৃত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, বেসরকারি ব্যবস্থাপনার প্রাক নিবন্ধন কার্যক্রম বছরব্যাপী চলমান আছে। প্রাথমিক তালিকায় নিবন্ধনের জন্য নির্ধারিত কোটার দুই লাখ ১৭ হাজার ২শ’ ৮৮ নং ক্রমিকের মধ্যে সংশ্লিষ্ট প্রাক নিবন্ধিত হজ গমনেচ্ছু ব্যক্তিদের নিবন্ধন কার্যক্রম সম্পন্ন করতে ১০ এপ্রিল পর্যন্ত সময় বৃদ্ধি করা হয়েছে। স্ব স্ব এজেন্সির মাধ্যমে ধর্ম মন্ত্রণালয় নির্ধারিত ব্যাংকে টাকা জমা দিয়ে হজযাত্রীদের অনুকুলে নিবন্ধন সনদ সংগ্রহ করতে অনুরোধ জানানো হয়। এ সময়ের মধ্যে নিবন্ধনে ব্যর্থ হলে হজনীতি অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
একই সময়ের মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনার হজযাত্রীদের বাকি টাকা জমা দিয়ে নিবন্ধন সম্পন্ন করে নিবন্ধন সনদ গ্রহণ করতে অনুরোধ জানানো হয়।
এমইউ/বিএ