সিটি নির্বাচন : সেনা মোতায়েনে ইসিতে মতবিরোধ


প্রকাশিত: ০২:৫৯ পিএম, ২০ এপ্রিল ২০১৫

আসন্ন সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে সেনাবাহিনী মোতায়েন নিয়ে মতবিরোধে জড়িয়ে পড়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। দুইজন কমিশনার সেনাবাহিনী মোতায়েনের পক্ষে অবস্থান নিলেও আর দুইজন এর বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছেন। ফলে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত এখন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী রাকিবউদ্দীন আহমেদের হাতে।

ইসি সূত্র জানায়, সোমবার দিনভর সেনাবাহিনী মোতায়েন নিয়ে ইসিতে ফাইল চালাচালি হয়।  এ সময় চার নির্বাচন কশিনারের মধ্যে দুইজন সেনাবাহিনী মোতায়েনের বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে ওই সংক্রান্ত ফাইলে স্বাক্ষর দিতে অস্বীকৃতি জানান। এই দুইজন হলেন- নির্বাচন কমিশনার মোহাম্মদ আবু হাফিজ ও বিগ্রেডিয়ার জেনারেল (অব.) মো. জাবেদ আলী। আর সিটি নির্বাচনে সেনাবাহিনী মোতায়েনের পক্ষে ফাইলে স্বাক্ষর করেন মোহাম্মদ আবদুল মোবারক ও মো. শাহনেওয়াজ। তবে সোমবার সিইসি এ ব্যাপারে কোনো মতামত দেননি। তিনি সেনাবাহিনী মোতায়েনের পক্ষে মতামত দিলেই সেনা মোতায়েন করা হবে।

এ বিষয়ে জাগো নিউজের পক্ষ থেকে নির্বাচন কমিশানার শাহনেওয়াজের কাছে জানতে চাইলে তিনি কোনো মন্তব্য না করে বলেন, বিষয়টি এখনও বিবেচনাধীন। সবাই একমত কিংবা সিইসি চাইলেই সেনা মোতায়েন করা হবে।

সূত্র আরও জানায়, ঢাকার দুই সিটি ও চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে সেনাবাহিনী  মোতায়নের পক্ষে জোরালো মত এসেছে নির্বাচন কমিশনে। এ বিষয়ে রোববার কমিশনের বৈঠকে নীতিগত সিদ্ধান্ত হয় বলে জানা গেছে। সোমবার এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা থাকলেও শেষ পর্যন্ত দ্বিমত দেখা দেওয়ায় তা সম্ভব হয়নি।

কমিশন সচিবালায়ের একাধিক শীর্ষ কর্মকর্তা জানান, কমিশন ২৮ এপ্রিল ভোট গ্রহণের দিন ও তার আগের দুই দিন এবং পরের দিন মিলিয়ে মোট চার দিন মাঠপর্যায়ে সেনা মোতায়েন করার বিষয়ে প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হলে সেনা সদস্যরা বিশেষ বাহিনী হিসেবে ভোটকেন্দ্রের বাইরে দায়িত্ব পালন করবেন।

এছাড়া আইন অনুযায়ী আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য না হওয়ায় তারা ভোটকেন্দ্রে প্রবেশ করতে পারবেন না বলেও জানা যায়।

এইচএস/আরএস/আরআই

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।