নাগরিকত্বের দাবিতে আবারও আন্দোলনে ছিটমহলবাসীরা
ছিটমহল নিয়ে ভারত এবং বাংলাদেশের মধ্যে স্বাক্ষরিত বিভিন্ন চুক্তি দ্রুত বাস্তবায়নের দাবিতে আবারও বিক্ষোভ মিছিল করেছেন ছিটমহলের অধিবাসীরা।
সোমবার দুপুরে পঞ্চগড়ে অবস্থিত ৩৬টি ভারতীয় ছিটমহলের অধিবাসী মোটরসাইকেল নিয়ে বিক্ষোভ মিছিল করেন। পরে তারা জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে ভারতীয় হাইকমিশনারকে একটি স্মারকলিপি দেন।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সালাহ উদ্দিন স্মারকলিপিটি গ্রহণ করে দ্রুত সংশ্লিষ্ট দপ্তরে পাঠানোর আশ্বাস দেন।
স্মারকলিপিতে নাগরিকত্বের দাবিসহ ভারত এবং বাংলাদেশের মধ্যে স্বাক্ষরিত সীমান্ত চুক্তি দ্রুত বাস্তবায়নের দাবি জানানো হয়। একই সঙ্গে ভারত এবং বাংলাদেশের ১৬২টি ছিটমহলে অনুরূপ কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে বলে জানানো হয় স্মারকলিপিতে।
এসময় বাংলাদেশ-ভারতীয় ছিটমহল বিনিময় সমন্বয় কমিটির পঞ্চগড়-নীলফামারী অংশের সভাপতি ও গারাতি ছিটমহলের চেয়ারম্যান মফিজার রহমান, ভারতীয় নাজিরগঞ্জ ছিটমহলের চেয়ারম্যান আব্দুল খালেক, কোটভাজিনি ছিটমহলের চেয়ারম্যান আলতাফুর রহমান, বালাপাড়া ছিটমহলের চেয়ারম্যান সফিকুল ইসলাম কাজল, পুঠিমারি ছিটমহলের চেয়ারম্যান তসলিম উদ্দিনসহ পঞ্চগড়ে অবস্থিত ভারতীয় বিভিন্ন ছিটমহলের চেয়ারম্যান ও ছিটমহলের অধিবাসীরা অংশ নেন।
১৯৪৭ সালে ব্রিটিশ নাগরিক র্যাডক্লফ কর্তৃক ভারতের সীমানা বিভক্ত করার সময় ভারত-পাকিস্থানে (তৎকালীন পূর্ব পাকিস্থান) ১৬২টি ছিটমহলের জন্ম হয়। এসব ছিটমহলের মধ্যে ভারতের কোচবিহার জেলার দিনহাটা ও তুফানগঞ্জ মহকুমার অভ্যন্তরে ৫১টি বাংলাদেশি ছিটমহল রয়েছে। যার আয়তন ৭১১০.২ একর।
আর বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ভারতীয় ১১১টি ছিটমহলের মধ্যে পঞ্চগড়ে ৩৬টি, লালমনিরহাটে ৫৯টি, কুড়িগ্রামে ১২টি এবং নীলফামারিতে ৪টি ছিটমহল রয়েছে। এসব ছিটমহলের আয়তন ১৭১৫৮.১৩ একর। ২০১১ সালের সর্বশেষ গণনা অনুযায়ী উভয় দেশের ১৬২ ছিটমহলের লোকসংখ্যা প্রায় ৫৫ হাজার।
এমজেড/এমএএস/এমএস