হজ নিবন্ধন বর্জন হাবের


প্রকাশিত: ১২:০৩ পিএম, ২৮ মার্চ ২০১৭

মঙ্গলবার থেকে সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় প্রাক নিবন্ধিত হজযাত্রীদের নিবন্ধন শুরু হওয়ার কথা থাকলেও অনিয়মের অভিযোগে এ কার্যক্রম বর্জন করেছে হজ এজেন্সিস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (হাব)।

মঙ্গলবার বিকেলে এ প্রতিবেদকের সঙ্গে আলাপকালে হাব মহাসচিব শেখ আবদুল্লাহ বিষয়টি জানিয়েছেন।

জাগো নিউজকে তিনি বলেন, সব হজ এজেন্সি ও ব্যাংক ইউজারদের প্রতি ধর্ম মন্ত্রণালয়ের জারি করা এক জরুরি বিজ্ঞপ্তিতে হজ নিবন্ধন কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত প্রাক নিবন্ধন সার্ভার খোলা রাখার ঘোষণা দেয়া হয়। কিন্তু হাব সদস্যদের কেউ নিবন্ধন করছেন না।

শেখ আবদুল্লাহ জানান, তারা যে নিবন্ধন করবেন না তা ধর্মমন্ত্রী, ধর্মসচিবসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে আগেই জানিয়ে দেয়া হয়েছে। গত ২৩ মার্চ ১ হাজার ৯৭টি এজেন্সির উপস্থিতিতে হাবের বিশেষ সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়। প্রাক নিবন্ধনে অনিয়মের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে যথাযথ শাস্তিমূলক ব্যবস্থা না নেয়া হলে তারা নিবন্ধনে অংশ নেবেন না বলে সিদ্ধান্ত হয়েছে।

তাই মঙ্গলবার কেউ নিবন্ধন করেননি বলে দাবি করেন তিনি।

তবে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বশীল এক কর্মকর্তা বলেন, সামনে হাবের নির্বাচনকে কেন্দ্র করে অভ্যন্তরীণ গ্রুপিং লবিং শুরু হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে প্রাক নিবন্ধনকে বিতর্কিত করতে মাঠে নামা হয়েছে।

`প্রাক নিবন্ধন বিষয়ে হাব যেসব অভিযোগ করেছে তা খতিয়ে দেখতে মন্ত্রণালয়ের বাইরের আইটি বিশেষজ্ঞদের দিয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হলেও কোনো ত্রুটি পাওয়া যায়নি,’ যোগ করেন তিনি। 

ধর্ম মন্ত্রণালয়ের ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, আগামী তিনদিন ৩০ মার্চ পর্যন্ত নিবন্ধন করার সময় রয়েছে। তাই এ সময়ে কত এজেন্সি নিবন্ধন করে আর না করে তা স্পষ্ট বোঝা যাবে।

চলতি বছরের হজ গমনেচ্ছুদের প্রাক নিবন্ধন শুরু হয় গত ১৯ ফেব্রুয়ারি। সর্বশেষ ২৩ মার্চ পর্যন্ত ২৫টি ব্যাংকের ৪৮৭টি শাখায় ১ হাজার ২২৯টি ইউজারের মাধ্যমে ১ লাখ ৮৮ হাজার ৮৮৩ জন প্রাক নিবন্ধন করেন। এর মধ্যে ২০১৭ সালের জন্য গত বছর প্রাক নিবন্ধন করেছেন ৩৭ হাজার ৪৩৯ জন।

যে অভিযোগে নিবন্ধন কার্যক্রম বর্জন হাবের
ভুক্তভোগী হজ এজেন্সির কর্মকর্তা ও হাবের অভিযোগ, ১৯ ফেব্রুয়ারি প্রাক নিবন্ধনের জন্য সব এজেন্সি সার্ভার খুলে অপেক্ষা করলেও দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত কার্যক্রম শুরু হয়নি। অবশেষে কার্যক্রম শুরু হলে একেকটি ডাটা অ্যান্ট্রি করতে ১০ থেকে ১৫ মিনিট সময় ব্যয় হয়। কোনো এজেন্সি প্রথম দিন ৪০টি ডাটা অ্যান্ট্রিও করতে পারেনি।

এছাড়া ২০ ফেব্রুয়ারি সার্ভার আরও ধীরগতি হয়ে যায়। কখনও হ্যাং হওয়ায় ১০০টি ডাটা এন্ট্রি করাও সম্ভব হয়নি। পরবর্তীতে ১৫০ জন পূর্ণ না হলেও জটিলতা নিরসনে ২২ ফেব্রুয়ারি থেকে যেকোনো সংখ্যার ভাউচার করে ব্যাংকে টাকা জমা দেয়ার নির্দেশনা দেয়া হয়।

এজেন্টরা ভাউচার ও টাকা নিয়ে ব্যাংকে গেলে ব্যাংক যথারীতি টাকা জমা নেয় এবং অনুমোদনের জন্য আইটিতে ইনপুট দেয়। তবে দীর্ঘ ৫ ঘণ্টা অপেক্ষা করেও বিকেল ৩টা পর্যন্ত অধিকাংশ এজেন্সি অনুমোদন পায়নি। অথচ কিছু কিছু এজেন্সি ও ব্যাংক ইনপুট দেয়া মাত্রই অনুমোদন পেয়েছে বলে অভিযোগ করেন হাব নেতারা।

এমইউ/এমএমএ/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।