সিলেটে বিস্ফোরণের সঙ্গে আইএসের সম্পর্ক নেই : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
সিলেটে জঙ্গি আস্তানায় অভিযানের মধ্যে বাইরে বিস্ফোরণের সঙ্গে আইএসের কোনো সম্পর্ক নেই বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অাসাদুজ্জামান খান কামাল।
তিনি বলেন, আমরা বলিনি জঙ্গি নির্মূল হয়েছে। আমরা বলেছি জঙ্গিরা আমাদের কন্ট্রোলে রয়েছে। সিলেটের শিববাড়িতে প্যারা কমান্ডো বাহিনীর অভিযানের মধ্যে সংঘঠিত বোমা বিস্ফোরণের সঙ্গে আইএসের কোনো সম্পর্ক নেই। দেশে আইএসের কোনো সদস্যকে ধরার সৌভাগ্য এখনো আমাদের হয়নি।
মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে রোববার সকালে বাজারবাগ পুলিশ লাইন্সে শহীদ স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণের পর সাংবাদিকদের করা প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সিলেটের শিববাড়ির সেই জঙ্গি আস্তানার বাইরে জঙ্গিরা বোমা রেখে যেতে পারে।
মন্ত্রী বলেন, সারা দেশ চষে বেড়িয়েছি। দেশের কোথাও আইএস শনাক্ত করার সৌভাগ্য হয়নি। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে কোনো নেতাই আইএসের অনুসন্ধান দিতে পারেননি। আমরা যদি আইএস শনাক্ত করতে পারতাম তাহলে আমরা ব্যবস্থা নিতাম।
সিলেটে জঙ্গি আস্তানায় বড় কোনো জঙ্গি নেতা রয়েছেন কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, এখনো অভিযান চলছে, অভিযান শেষ না হওয়া পর্যন্ত কিছু বলা যাচ্ছে না। তবে মনে হচ্ছে বড় কোনো নেতা থাকতে পারেন।
জঙ্গি আস্তানা প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, ‘যে বাড়িটিতে জঙ্গিদের আস্তানা রয়েছে সেখানে অনেক অধিবাসী ছিলেন। পরে অভিযানটি নির্বিঘ্ন করতে সেনাবাহিনীর উপরে দায়িত্ব দেয়া হয়। এ ধরনের একটি অভিযানস্থলের আশপাশে বোমা রেখে যাওয়ার ঘটনায় হঠাৎ করে বিস্ফোরণ হয়। এ ঘটনায় এ পর্যন্ত ছয়জন নিহত হয়েছেন। যাদের মধ্যে দুইজন পুলিশ পরিদর্শক রয়েছেন। আর একজন র্যাব কর্মকর্তা গুরুতর আহত হয়েছেন।’
তিনি আরও বলেন, গোয়েন্দারা বাড়িটি চিহ্নিত করতে পেরেছে বলেই অভিযান চালানো সম্ভব হয়েছে। নিরাপত্তা বাহিনী নিজের জীবনের তোয়াক্কা না করে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে। জনগণ জঙ্গিবাদকে সমর্থন করে না, সেহেতু তারা টিকতে পারবে না বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) এ কে এম শহীদুল হক, ডিএমপি কমিশনার মো. আসাদুজ্জামান মিয়া, র্যাবের অতিরিক্ত মহাপরিচালক আব্দুল জলিল মণ্ডল ও বাংলাদেশ পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন ও পুলিশ উইমেন নেটওয়ার্ক (বিপিডব্লিউএন) নের্তৃবৃন্দ।
অনুষ্ঠানে শহীদ স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে বীর পুলিশ যোদ্ধাদের প্রতি সম্মান ও শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।
উল্লেখ্য, ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ কালোরাতে রাজারবাগ পুলিশ লাইন্স পাক হানাদার বাহিনীর আক্রমণের শিকার হয়। থেমে থাকেননি তৎকালীর পুলিশে কর্মরত বাঙালি সদস্যরা। গর্জে উঠেছিল তাদের থ্রি নট থ্রি রাইফেল। তারাই রাজারবাগে মুক্তিযুদ্ধের প্রথম সশস্ত্র প্রতিরোধের সূচনা করেছিলেন।
জেইউ/জেডএ/এমএস